লিহান লিমা: [২] কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীদের জন্য ‘জীবনরক্ষাকারী’ ঔষধ হিসেবে ‘ইন্টারলিউকিন-৬’ এর অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এটি হু অনুমোদিত করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতে যাওয়া দ্বিতীয় ঔষধ। আল জাজিরা
[৩]এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে কোর্টিকোস্টেরয়েডসের অনুমোদন দিয়েছিলো হু। সংস্থাটি বলেছে কোর্টিকোস্টেরডের পাশাপাশি ইন্টারলিউকিন-৬ এর ব্যবহার করা হলে এটি খুব ভালো কাজ করে।
[৪]এক বিবৃতিতে হু প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসুস বলেন, ‘এই ঔষধগুলো করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে রোগীর আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছেন তাদের ও তাদের পরিবারকে আশা যোগাবে।’
[৫]রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থেকে অনেক সময় রোগিরা খারাপ পরিস্থিতিতে পড়ে যান। সেক্ষেত্রে ইন্টারলিউকিন-৬ (যার মধ্যে আছে টোসিলিজুমাব ও সারিলুমাব) এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকে বন্ধ করতে পারে।
[৬]মারাত্মকভাবে অসুস্থরোগীদের ওপর এই ঔষধটি পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এক হাজার রোগীর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ১৫ এর নিচে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন এমন প্রতি এক হাজার জনের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ২৮ এরও কম। এবং এই ঔষধগুলো ভেন্টিলেটরে থাকা মারত্মক ও আশঙ্কাজনক অবস্থাসম্পন্ন রোগীদের মৃত্যুর হার শতকরা ২৮ ভাগ হ্রাস করে।
[৭]এই ঔষুধ তৈরি করে সুইজারল্যান্ডের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রোচে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশের পর ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স রোচে’র কাছে ঔষুধের দাম কমিয়ে তা সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনার আহ্বান জানায়।