কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] প্রতিদিন ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে ২০০ জন করে মোট এক হাজার ৪০০ জন কর্মী ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। প্রতিটি কেন্দ্রের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে নিবন্ধিত সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এসএমএস পাঠানো হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের তারিখের অন্তত এক দিন আগে এসএমএস পাঠানো হবে।
[৩] কেন্দ্রগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
[৪] সুরক্ষা অ্যাপে বিদেশগামীদের জন্য ‘পাসপোর্ট’ নামের বাটন যুক্ত করা হয়েছে। যাদের বিএমইটি নিবন্ধন আছে, তারা এখন থেকে নিবন্ধন করতে পারবেন।
[৫] সোমবার প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয় এবং সুরক্ষা অ্যাপে বিদেশগামীদের টিকা নিবন্ধনের উদ্বোধন করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
[৬] তিনি বলেন, প্রবাসীরা এমনিতেই অনেক কষ্ট করেন। ভ্যাকসিন পেতে বিভিন্ন জায়গায় ভিড় করেছেন। যে জটিলতা তৈরি হয়েছে আশাকরি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সে সমস্যার সমাধান হবে। প্রবাসীরা শান্তিতে বিদেশে যেতে পারেন এজন্য আমরা দিনরাত কাজ করছি।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, সৌদি আরব ও কুয়েতগামীদের জন্য ফাইজার ও মডার্নার টিকা লাগবে। অন্য দেশে এমন কোনো শর্ত নেই। বিদেশগামী সবাই টিকা পাবেন। সক্ষমতা না থাকায় ফাইজারের টিকা ঢাকার বাইরে নেওয়া যাচ্ছে না। তবে মডার্নার টিকা সিটি করপোরেশন পর্যন্ত নেওয়া যাবে।
[৮] তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, সুরক্ষা পোর্টাল বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে। সংক্রমণ এড়িয়ে অনলাইন নিবন্ধনের এই প্রক্রিয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি বড় দৃষ্টান্ত।
[৯] প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, এক ডোজ নেওয়ার ১৪ দিন পর গেলে সৌদি আরবে কোয়ারেন্টিন করতে হবেনা। দুই ডোজ নিয়ে যাওয়াই ভালো।
[১০] অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব এ এম জিয়াউল আলম। প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়, তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তর, পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হন।