শিরোনাম
◈ ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা  ◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী ◈ বাংলাদেশ আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেবে না ◈ একনেকে ৮ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ১৩ প্রকল্প অনুমোদন ◈ বিশেষজ্ঞরা চার পদ্ধতিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন: আলী রীয়াজ ◈ শেখ হাসিনার আরও দুটি লকার জব্দ করেছেন কর গোয়েন্দারা ◈ যে কারণে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষক ও ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শোকজ করলেন ◈ মানুষকে কামড়ালে ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’ হবে কুকুরের! ◈ ডাকসু নির্বাচনে গোলাম রাব্বানীর প্রার্থিতা অবৈধ: ছয় বছর পর জিএস হতে পারেন রাশেদ খান!

প্রকাশিত : ০৫ জুলাই, ২০২১, ০১:৫৫ দুপুর
আপডেট : ০৫ জুলাই, ২০২১, ০১:৫৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নাসির উদ্দিন প্রিন্স: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃত গৌরব দেশের রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন ছাড়া ফিরিয়ে আনা আদৌ সম্ভব কী?

অদ্ভুত একটা বিতর্ক দেখছি গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। গত ১ জুলাই ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শততম বার্ষিকী। তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। যার মূল কেন্দ্রে ছিল গত এক শতকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতি রাস্ট্র গঠন, রাজনৈতিক-সামাজিক আন্দোলন ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে যতটা ভূমিকা রেখেছে তার একাডেমিক এক্সলেন্সের জায়গায় আসলে ভূমিকা কী?

অদ্ভুত বলছি এই কারণেই যে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা কি এভাবে পৃথক মানদণ্ডে পরিমাপ করা যায়? যদি একটু খেয়াল করে দেখি তবে দেখব এই বিশ্ববিদ্যালয় যখন তার রাজনৈতিক আন্দোলনের সোনালী সময় পার করেছে তখন একাডেমিক্যালিও সে ছিল উজ্জ্বল। আবার যখন তা শাসকদের কর্তৃত্বের কাছে মাথা নত করেছে তার জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্রও ব্যাহত হয়েছে নিদারুণভাবে। বৃটিশ, পাকিস্তান এবং স্বাধীন বাংলাদেশ তিন আমলেই শাসকেরা বারবার ঢাকা বিশ্ববিদালয়কে পদানত করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে এদেশের জনগণের প্রতিটি লড়াইয়ে বাতিঘরের ভূমিকা পালন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। স্বাধীন বাংলাদেশে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই তেজ ফুরিয়ে যায়নি। আর এই প্রতিরোধের সংস্কৃতিই বারবার এদেশের জনগণকে দিয়েছে বুদ্ধির মুক্তির দিশা।

স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর কথিত গণতান্ত্রিক আমলে এসে যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাসকদের পদলেহী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে তা মনে হয় অতীতের কোন আমলেই হয়নি। যার প্রভাব পড়েছে গোটা রাজনৈতিক-সামাজিক আন্দোলন এবং একই সাথে তার একাডেমিক চর্চায়ও। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন-স্বাধীনতাই হয়তো ফিরিয়ে আনতে পারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হৃত গৌরব যা আবার গোটা দেশের রাজনৈতিক কাঠামোর পরিবর্তন ছাড়া আদৌ সম্ভব কী?

যে রাষ্ট্রযন্ত্র জনতার স্বার্থের বিপরীতে নিজেকে পরিচালিত করে, জনগণের উপর নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে নিজে আবির্ভূত হয় তার সাথে সঙ্গত করে আর যাই হোক মুক্তচিন্তা বা জ্ঞানের বিকাশ ঘটবে না সেকথা বোঝার জন্য বড় ডিগ্রির প্রয়োজন নেই। সুবিধাভোগী শাসকেরাও চাইবেনা তার (আসলে জনগণের) অর্থে পরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন মানুষ তৈরি হোক যে কিনা তাকে বধ করার হাতিয়ারে শান দেবে! তাই এই লড়াই সমকালীন যুগের, এ প্রশ্নকে বাদ দিয়ে এই আলোচনা করাটাই বাতুলতা মনে হয়।

(লেখক, সাধারণ সম্পাদক, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটি)

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়