তাসীন তিহামী : [২] কুমিল্লার তিতাসে অগ্নিকাণ্ডে খামারসহ ২টি গরু পুড়ে যাওয়ায় এবং ২টি গরু আহত অবস্থায় জবাই করে ফেলায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন খামারী। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় উপজেলার রাজাপুর গ্রামের খামারী কাইয়ুম খানের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
[৩] শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. রাশেদা আক্তার, তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আঃ মান্নান মিয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আহসানুল ইসলাম, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মহসীন ভুঁইয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সরকারী সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
[৪] রাজাপুর গ্রামের খামারী কাইয়ুম খান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টায় গরুর খামারে আগুন লাগে। খামারে থাকা ৬টি গরুর মধ্যে ২টি গরু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, ২টি গরুর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় জবাই করে ফেলা হয়েছে, বাকি ২টি গরু চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। এছাড়াও আগুনে আমার দুটি ঘর, আমার ভাই জসিম উদ্দিনের একটি ঘরের আংশিক পুড়ে গেছে। গরুগুলো আগামী কুরবানীতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করে ছিলাম। কিছুদিন আগে ২টি গরু সাড়ে তিন লাখ টাকা দাম দিয়ে কিনতে চেয়েছিল। দাম আশানুরূপ না হওয়ায় গরুগুলো বিক্রি করিনি। এতে প্রায় আমার ৮ লাখ টাকার মতো ক্ষতি হয়।
[৫] সদর কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. মহসীন ভুঁইয়া জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অঅগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে।
[৬] উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসা. রাশেদা আক্তার বলেন, আহত গরুগুলোকে চিকিৎসার জন্য প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারীকে সরকারী বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন