লিহান লিমা: [২] চলতি বছরের ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র সব সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও এটি এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন জানিয়েছে, আগস্টের শেষ নাগাদই সম্পূর্ণরুপে আফগানিস্তানের মাটি ছাড়বে মার্কিন সৈন্যরা। নিউজনাউ
[৩] শুক্রবার আফগান যুদ্ধ শুরুর প্রায় ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনারা দেশটির সবচেয়ে বড় বাগরাম বিমানঘাঁটি ত্যাগ করে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি বিমানঘাঁটি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করেন, শুধু সামরিক উপায়ে আফগানিস্তান যুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়। সৈন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু আগামী দিনগুলোতে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকবে।’
[৪] যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তানের উপস্থিতির সময় মার্কিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করা হাজারো আফগানকে সাময়িকভাবে আশ্রয় দিতে মধ্য এশিয়ার তিন দেশ কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেন প্রশাসন জানায়, মার্কিন সৈন্যরা চলে আসায় তারা হুমকির মুখে পড়তে পারেন। তাই তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
[৫] তালেবান বিদেশী সৈন্য ছাড়ার বিষয়টিকে ‘ইতিবাচক’ হিসেবে দেখলেও সাধারণ আফগানরা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত। কাবুলের বাসিন্দা জাভেদ আরমান বলেন, ‘ দেশের শান্তির জন্যই আমেরিকানদের আফগানিস্তান ছাড়া উচিত।’ তবে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ভয়ানক পরিস্থিতিতে আছি। অনেক মানুষ নিজেদের প্রদেশ ছাড়ছেন, ধীরে ধীরে প্রদেশগুলো তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে।’
আপনার মতামত লিখুন :