সমীরণ রায়: [২] শুক্রবার গণমাধ্যমে বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাবিবুল্লাহ বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলমের পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দেশের কয়েক কোটি শ্রমিক-কর্মচারী।
[৩] তারা বলেন, লকডাউনের কারণে নৌযানসহ সব ধরনের পরিবহন শ্রমিক, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, বেকারি, পর্যটন সংশ্লিষ্ট শ্রমিক, লোকাল গার্মেন্টস শ্রমিক, ঠেলা-দিনমজুর, স’মিল, চাতাল, মুদ্রণ, পাদুকা, ক্ষৌরকার, হকার, গৃহকর্মী, দোকান কর্মচারী, নির্মাণ, বারকি, দর্জি শ্রমিকসহ বিভিন্ন খাতের অধিকাংশ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে অনাহার-অর্ধাহারে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
[৪] তারা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে শ্রমজীবী জনগণ দুবেলা দুমুঠো ডাল ভাত জুটাতে পারছে না। গত এক বছরে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন, ৬২ শতাংশ শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। সরকারের সদ্য পাসকৃত বাজেটে নতুন দরিদ্রদের জন্য কিছুই রাখা হয়নি। এমনকি জনগণের সামাজিক নিরাপত্তায় রেশনিং চালুর জন্যও কোনো বরাদ্দ হয়নি।
[৫] তারা বলেন, কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না নিয়েই সরকার লাখ লাখ ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, নসিমন, করিমন, ভটভটি উচ্ছেদের তৎপরতা চালাচ্ছে। করোনাকালে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল, চিনিকলসমূহ বন্ধ করে দেওয়ার এক বছরেও শ্রমিকদের পাওনাদি পরিশোধ করেনি। এ অবস্থায় সরকার জনগণের কোনো দায়দায়িত্ব না নিয়ে ‘কঠোর লকডাউন’ চাপিয়ে দিয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশের ভয় দেখিয়ে জনগণকে গৃহবন্দি করে রাখতে চাইছে।