শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০২ জুলাই, ২০২১, ০১:৪৬ রাত
আপডেট : ০২ জুলাই, ২০২১, ০১:৪৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: শিক্ষার মন্নোনয়ন ও মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ কী করা দরকার?

অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন: শিক্ষার মানে অবনতি, দরকার মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ: ইউজিসি চেয়ারম্যান। শতভাগ সত্য কথা বলেছেন আমাদের ইউজিসি চেয়ারম্যান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর পি জে হার্টগও একই কথা বলতেন। পার্থক্য হলো পি জে হার্টগ কাজে প্রমান করে গিয়েছেন কিন্তু ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ এই কথাকে কাজে পরিণত করার মতো দৃশ্যমান কোনো কিছুই করেননি। ইউজিসি চেয়ারম্যান বরং উল্টো কাজ করেছেন। প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর পি জে হার্টগ বুঝেছিলেন ভালো শিক্ষক নিয়োগ না দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের কেউ জানবে না চিনবে না। তিনি সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ যেই কাজটি করলেন সেটি শিক্ষক নিয়োগে শিক্ষকদের বেতন স্কেল তৎকালীন ভারতের সকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক বেশি করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিলেন। তাতে কাজও হলো। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক প্রথিতযশা শিক্ষক এবং সেরামানের নবীন শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য আবেদন করতে লাগলেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমার সত্যেন বোস, আর সি মজুমদার, কৃষাণদের মত শিক্ষক পেয়েছিলাম।

আর আমরা কি করলাম? শেষ পে-স্কেলে warrants of precedence-এ শিক্ষকদের অবস্থান অবনমন করে বেতন ও সম্মান দুইই কমানো হলো। এর ফলও পাচ্ছি। এখন আর আমার ক্লাসের সেরা শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখে না। উল্টো অনেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে হয় বিদেশ চলে যাচ্ছে না হয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যাচ্ছে। এসব দেখার কেউ নাই। যাবে না কেন? সম্মান তো নেই। তার সাথে যদি বেতনও কম হয় কেন থাকবে? একই শহরে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্ঝঞ্ঝাট শিক্ষকতা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে ৩ থেকে ৪ গুন্ বেতন যদি বেশি পায় কেন থাকবে? তবুও অনেকে থাকছে। কারণ শিক্ষকতার পাশাপাশি ধান্দাবাজি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকেও অনেক টাকা কামানো যায়। কিন্তু সেটাতো ধান্দাবাজি করে। এই যদি পরিবেশ হয় তাহলে কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মান আর শিক্ষার মান বাড়বে?

কয়েক বছর আগে ভারতের ইউজিসি একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তটি হলো যে কেউ বিশ্ব রেঙ্কিং-এ ১ থেকে ৫০০ তে থাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে পিএইচডি করলে তাকে সরাসরি সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। এই নিয়ম করলে শিক্ষক নিয়োগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তা ব্যক্তিরা আর ছন্দাইনন্দাই করতে পারতো না। এর ফলে আরেকটা বিষয় যেটা হতো আমাদের অনেক ছাত্র যারা এখন বিদেশে ভালো পিএইচডি করেছে বা করছে তারা ফিরে আসতো। এই ফিরে আসার দরজাটা খুলে দেয়া অতি জরুরি। একই সাথে ২০১৫ সালে বেতন স্কেল-এ শিক্ষকদের যে অবনমন ঘটানো হয়েছে সেটাকে আনডো করা। এইদুটো কাজ যতদিন না করা হবে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান কোনভাবেই উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব না। লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়