নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সবসময় ভাল ফলাফল এনেছে এবং সেটি ঘরের মাঠে। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের করুন ফলাফল বহাল জিম্বাবুয়ের মাটিতেও। এই অব্দি জিম্বাবুয়ে গিয়ে চারটি টেস্ট সিরিজ খেলেছে বাংলাদেশ যার একটিও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ বছরের বেশি সময় পরে জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ। এবারের সিরিজে একটি মাত্র টেস্ট ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
[৩] বাংলাদেশ সবশেষ জিম্বাবুয়ে সফর করেছিল ২০১৩ সালে। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট বাংলাদেশ হেরেছিল ৩৩৫ রানে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের করে ৩৮৯ রান, জবাবে বাংলাদেশ অল আউট হয় ১৩৪ রানে। ২২৭ করে দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে জিম্বাবুয়ে। ৪৮৩ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৪৭ রানে প্যাকেট বাংলাদেশ। বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টাইগারদের। পরের ম্যাচে ম্যাচ জিতে সিরিজ ড্র করেছিল বাংলাদেশ।
[৪] জিম্বাবুয়ের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবথেকে বেশি রান আছে আশরাফুলের। ৫ টেস্টে ৯ ইনিংস ব্যাট করে ৩৩ গড়ে ২৯৭ রান করেছেন তিনি। সাকিব, মুশফিকদের গড় ওদেশের মাটিতে ৩৫ এর কাছাকাছি। তামিম সহ বাকিদের গড় রান আরো কম। জিম্বাবুয়ের মাটিতে এ্রখন অব্দি কোন সেঞ্চুরী নেই টাইগারদের। সবথেকে বেশি ৩টি ফিফটি করেছেন সাকিব আল হাসান।
[৫] বোলিংয়ে ৩ ম্যাচে ১৮ উইকেট আছে রবিউল ইসলামের। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সাকিবের সংগ্রহ ৬ ইনিংসে ৮ উইকেট। পুরো পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে জিম্বাবুয়ের মাটিতে কতটা নাজুক ফলাফল টাইগারদের। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়েকে সহজে হারানো গেলেও ওদের মাটিতে সেই কাজটা বড্ড কঠিন। ভুল করলেই দিতে হতে পারে বড় মাশুল। ১ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হওয়াতে গুরত্ব দিতেই হচ্ছে বাংলাদেশকে।
[৬] জিম্বাবুয়ের কন্ডিশন অনেকটা দক্ষিন আফ্রিকার মত, বল ঘুরবার বদলে সুইং করবে বেশি। যে কারণে পেসারদের সুযোগ বেশি থাকবে সেখানে ভাল করবার। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা তুলনামুলক সহজ হয় জিম্বাবুয়েতে। এই সবকিছু মাথায় নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কারণ এই একমাত্র টেস্ট হারলে তুমুল সমালোচনার মুখে পরতে হবে বাংলাদেশ দলকে। শক্তি বিবেচনাতে জিম্বাবুয়ের থেকে কাগজে কলমে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে থাকবে। তবে মূল লড়াইটা হবে মাঠে, ভিন্ন কন্ডিশনের বিপক্ষে।