স্পোর্টস ডেস্ক : এজবাস্টন টেস্টের তৃতীয় দিন এমন এক বিরল ঘটনার সাক্ষী হলো ক্রিকেটবিশ্ব, যা ইংল্যান্ডের দেড়শ বছরের টেস্ট ইতিহাসেও ছিল অভূতপূর্ব। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসা ইংল্যান্ডকে দেখে মনে হচ্ছিল ইনিংস ব্যবধানে বড় হারই হয়তো নিয়তি। তবে সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জেমি স্মিথ ও হ্যারি ব্রুক মিলে গড়ে তোলেন দুর্দান্ত এক জুটি। তাদের ব্যাটে ভর করে ৪০৭ রানে পৌঁছে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস।
তবে এই ইনিংসের সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো, ১১ ব্যাটারের মধ্যে ছয়জনই আউট হয়েছেন শূন্য রানে। এমন ঘটনা ইংল্যান্ডের দীর্ঘ টেস্ট ইতিহাসে এবারই প্রথম। শুধু তাই নয়, টেস্ট ইতিহাসে এটাই প্রথম কোনো ইনিংস, যেখানে ছয় ব্যাটার ‘ডাক’ মারার পরও কোনো দল দলীয় সংগ্রহ ৪০০ পেরিয়েছে।
এছাড়া, দলের বেশিরভাগ ব্যাটার শূন্য রানে ফিরলেও স্কোরবোর্ডে বড় রান উঠেছে এমন রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের দখলে তবে এজবাস্টন টেস্টে সেই রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ২০২২ সালের ২৩ মে মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে ছয় ব্যাটসম্যান শুন্য রানে আউট হলেও ৩৬৫ রান তুলেছিলো বাংলাদেশ। শূন্য রানে ৬ জন আউট হওয়ার পরেও দলগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিলো এটি।
ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় দিনের শুরুতে ইংল্যান্ড ছিল চরম বিপর্যয়ের মধ্যে। ২৫ রানেই ৩ উইকেট এবং ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন হ্যারি ব্রুক ও জেমি স্মিথ। দুজন মিলে গড়েন ৩০৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ব্রুক করেন ১৫৮ রান, আর উইকেটকিপার-ব্যাটার স্মিথ অপরাজিত থাকেন ১৮৪ রানে। তার ইনিংসটি ইংল্যান্ডের ইতিহাসে কোনো উইকেটরক্ষকের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।
৪০৭ রানের ইনিংসে ব্রুক ও স্মিথ দুজন মিলে যোগ করেছেন ৩৪২ রান, যা পুরো ইনিংসের ৮৪ শতাংশ। বাকি ৯ ব্যাটার এবং অতিরিক্ত খাত মিলিয়ে আসে মাত্র ৬৫ রান। শূন্য রানে যারা ফিরেছেন, তারা হলেন—বেন ডাকেট, ওলি পোপ, বেন স্টোকস, ব্রাইডন কার্স, জশ টাং ও শোয়েব বশির। -- তথ্যসূত্র, চ্যানেল২৪