আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] ক্রোয়েশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিটার গলব্রাইট। জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস’র শিকারে পরিণত হওয়া ব্যক্তিদের জন্য কাজ করেন। শামীমা বেগম যখন বৃটেন থেকে পালিয়ে সিরিয়া যান, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর। তিনি স্কুলে পড়তেন। আরব নিউজ
[৩] গলব্রাইট দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, আমি শামীমার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি এরই মধ্যে আইএসকে একেবারে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার সম্পর্কে আমি অনেকটা জানি। এতে তার প্রতি আমার আস্থা এসেছে যে, তিনি আর বিপজ্জনক হবেন না।
[৪] সম্প্রতি এই কূটনীতিক কানাডিয়ান একজন মাকে সাহায্য করেছেন। তার সহায়তায় সিরিয়ার আল রোজ শরণার্থী শিবির থেকে মুক্তি পেয়েছেন ওই নারী। বর্তমানে ওই শরণার্থী শিবিরেই অবস্থান করছেন শামীমা। কানাডিয়ান ওই নারী কুর্দিস্তান দিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে ইরাকে প্রবেশ করেছেন এবং কনস্যুলার সহায়তা চেয়েছেন।
[৫] নাগরিকত্ব বাতিল করার বৃটিশ সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন শামীমা বেগম। তিনি এতে যুক্তি দেখিয়েছেন, বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে রাষ্ট্রহীন করে দিয়েছে। কিন্তু সরকার বলছে, শামীমার এই দাবি সত্য নয়। কারণ, তার পিতামাতা দুজনেই বাংলাদেশ থেকে গিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশও তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
[৬] শামীমা বেগমকে রাষ্ট্রহীন করে দেওয়ার বিতর্কের বাইরেও তার আইনজীবীরা বলেছেন, শামীমা শিশু পাচারকারীদের কবলে পড়ে থাকতে পারেন। তাকে যৌনতার পথে নিতে এবং জোরপূর্বক বিয়ে করার জন্যই এসব করা হয়েছে। এ বিষয়টি বৃটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বিবেচনায় নেওয়া উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :