ইমরুল শাহেদ: করোনা মহামারি ঠেকানোর একমাত্র হাতিয়ার হলো ঘরে থাকা। এটাকে প্রতিরোধ যুদ্ধও বলা যায়। এতে নিঃসঙ্গতা অনুভব করার কিছু নেই। বরং ব্যস্ততার বাস্তবতায় অথবা ওপরে ওঠার মোহের কারণে সময় না দিতে পারায় যেসব সম্পর্ক একটু একটু করে আলগা হতে হতে প্রায় ছুটে যাওয়ার জোগাড় হয়েছিল, এই মহামারি বরং সেই সম্পর্কগুলো ফের জোড়া লাগার একটা সুযোগ করে দিয়েছে। এমনটাই মনে করেন চম্পা। তিনি বলেন, সারাজীবন বাইরে বাইরে কেটেছে। শুটিংয়ের মধ্য দিয়ে সময় ব্যয় করেছি।
জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে আমরা ঘরমুখো হয়েছি। ঘরের মধ্যেও একটা আলাদা জগত আছে। আমরা তিন বোন (সুচন্দা, ববিতা, চম্পা) সারাজীবনই ঘরকুনো মানুষ। ঘরের মধ্যে সময় কাটানোর বিষয়টাকে আমরা খুব উপভোগ করি। ঘরের মধ্যে অনেক কাজ থাকে। পরিবারকে দেখার কাজ থাকে। এটা আমি খুব উপভোগ করি। জীবনে অনেক কাজ করেছি, অনেক কিছু পেয়েছি। তাতে জীবনটা পরিপূর্ণ হয়ে উঠেনি। এখন আমি আল্লাহর ধ্যানের মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছি। এর মাধ্যমে আমি জীবনটাকে পরিপূর্ণ করার চেষ্টা করছি। এছাড়া আমি বাগানে সময় ব্যয় করি। বাজার আসে সব চেক করে ঘরে ডুকাই। আমি সব সময় হেল্পিং হ্যান্ডের ওপর নির্ভর করি না। সবকিছু আমাকেই তদারক করতে হয়। এভাবে বাড়িঘরের তদারকি করতেই প্রচুর সময় চলে যায়। এছাড়া আমি সেলাইয়ের কাজ করি। শুধু রঙতুলি দিয়েই নয়, সুই সুতো দিয়েও ছবি আঁকা যায়।
মুভমেন্ট নিষেধাজ্ঞায় ওমর সানি ও মৌসুমী দম্পতির সময় কিভাবে কাটছে জানতে চাওয়া হলে ওমর সানি বলেন, আমি সকালে জগিংয়ে বেরিয়েছিলাম। ফোনে গসিপ করে, লাইভ-টাইভ করতাম সেগুলো বোধহয় এখন বন্ধ, আমি জানি না, টিভি আর পত্রপত্রিকা এবং ছেয়েমেয়েদের সঙ্গে এই সময়টা কাটবে। মৌসুমীর ক্ষেত্রেও একই কথা। তার আলাদা কোনো এ্যাসাইনমেন্ট নেই। সে যদি ব্যক্তিগত কোনো কাজে বা প্রোডাক্টিভ কোনো কাজে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডে যেতে চায় সৌভাগ্যবশত সেটা আমার বাসার পাশেই। যেতে সময় লাগে দুই থেকে তিন মিনিট। সেখানে যেতে পারে। আজকে (বৃহস্পতিবার) আমি গাড়ি নিয়ে বের হয়েছিলাম। আমার পরণে ছিল হাফপ্যান্ট। আমাকে কেউ কিছু বলেনি। আমি জগিং শেষ করে ঘরে ফিরেছি।
বিপাশা কবীর বলেন, বুধবার পর্যন্ত আমি জেদী মেয়ে ছবির কাজ করেছি। ভীষণ ধকল গেছে। কাজের চাপে এখন অসুস্থ হয়ে পড়েছি। এখন আমি বিশ্রাম নিচ্ছি। এই সময়টা আমার জন্য ভালোই হয়েছে। ফেসবুক, টিভি, সিনেমা দেখা এবং টেলিফোনে এ্যাটেন্ড করে সময়টা কেটে যাবে। এই সময়টাতে আমি ঘরেই থাকব। আশা করি একেবারেই বাইরে যাওয়ার দরকার হবে না।
আপনার মতামত লিখুন :