এবিএম কামরুল হাসান: কোভিডকাল চলছে গত পনেরো মাস। পুরো সময়টা বিধি নিষেধের বেড়াজালে বাংলাদেশ। কখনো সীমিত, কখনো শিথিল, কখনো বা কড়া, সর্বাত্মক। সরকার বলছে চলাচলে বিধি নিষেধ। পাবলিক বলছে লকডাউন, কাটডাউন বা শাটডাউন। যে নামেই ডাকুন না কেন, জনগণ ভোগান্তিতে রয়েছে। কখনো সে ভোগান্তি সীমিত, কখনো সর্বাত্মক। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, জনগণ কথা শোনে না, স্বাস্থ্যবিধি মানে না। একথা যেমন সত্যি, তেমনি এটাও সত্যি সরকারিভাবে বিধি নিষেধের প্রজ্ঞাপন জারি করেই দায়িত্ব শেষ। তদারকি নেই, সমন্বয় নেই। প্রজ্ঞাপন বলছে, গণপরিবহন চলবে না, ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। বাস্তবে পাটুরিয়াতে ফেরি চলছে।
চলাচলে বিধি-নিষেধের মধ্যে যমুনা ব্রিজে রেকর্ড পরিমাণ টোল আদায় হয়েছে। রোজার ঈদে কোটির অধিক মানুষ ঢাকা ছেড়েছে। লকডাউন বা চলাচলে বিধিনিষেধ যতোই বাড়ছে, ঢাকা শহরে যানজট ততোই বাড়ছে। সমানুপাতিক হারে বাড়ছে সংক্রমণ, মৃত্যু। বাড়ছে মানুষের ভোগান্তি। এভাবেই চলছে গত পনেরো মাস। অথচ নিদেনপক্ষে পনেরো দিনের সর্বাত্মক এবং কড়া লকডাউন কার্যকর করলে সংক্রামণের চেইন ভাঙা সম্ভব। মানুষের ভোগান্তি পনেরো দিনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতো। সেক্ষেত্রে কোন সেক্টরকেই সীমিত আকারের সুযোগ দেওয়া যাবে না, যতোই তারা স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলুক। সরকারকেই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কড়া লকডাউনে পনেরো দিন, নাকি ঢিলেঢালা লকডাউনে আরও পনেরো মাস। মানুষ কি সীমিত পরিসরের ভোগান্তিতে থাকবে আরো পনেরো মাস, নাকি কঠিন ভোগান্তিতে থাকবে পনেরো দিন?