রিংকু কুমার রায় ঃ [২] ঢাকার কাওরান বাজার থেকে মোহনগঞ্জ বিয়ে করতে এসে ঘটকের হাতে প্রতারণার শিকার হলেন হিরণ মিয়া (২৬) নামে এক বর।
[৩] গত মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়কাশিয়া-বিরামপুর ইউনিয়নের চেংড়াখালী গ্রামের আবুল কাশেম নামে এক ঘটনের বিরুদ্ধে প্রতারণার এ অভিযোগটি ওঠে। জানা গেছে, উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের নওগাঁ গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে হিরণ মিয়া গত প্রায় ৭ বছর যাবৎ ঢাকায় কাওরান বাজারের মায়ের দোয়া নামে একটি মৎস্য আড়তে চাকরি করে আসছেন।
[৪] গত ১০ দিন আগে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে নিজ এলাকায় আসেন। মোহনগঞ্জ বাজারে এসে তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পরিচয় হয় উপজেলার চেংরাখালী গ্রামের মৃত ইয়ার মামুদের ছেলে ঘটক আবুল কাশেমের সাথে। আবুল কাশেম তখন বর হিরণ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে তার নিজ গ্রামে যান। সেখানে বউ হিসেবে একটি মেয়েকে সাজিয়ে হিরণ মিয়ার সামনে হাজির করেন। তখন বর হিরণ মিযা তার সামনে বউ সেজে আসার মেয়েটিকে দেখে পছন্দও করেন। এরপর প্রতারক ঘটক কাশেম তাৎক্ষণিকভাবে মঙ্গলবার (২২ জন) বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করে দেন।
[৫] এ অবস্থায় ঘটক কাশেম সোমবার সকালে বরণ হিরণ মিয়াকে বিয়ের কেনা-কাটা করার কথা বলে তাকে ২০ তহাজার টাকা নিয়ে আসার কথা বলেন। তার কথামতো হিরণ মিয়া বাড়ি থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে এসে ঘটকের হাতে তোলে দেন। ঘটক কাশেম টাকা নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই ফোনটি বন্ধ করে উধাও হয়ে যান। হিরণ মিয়া দিনভর ঘটক কাশেমকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে প্রতারণার শিকার হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হন। এই ঘটনা হিরণ মিয়া সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করবেন বলে ‘হ্যালো ভাটিবাংলা’ নামের এক ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। এরপর থেকেই বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
[৬] বৃস্পতিবার এ বিষয়টি উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইজাজুল হক রয়েলের নজরে আসে। তিনি ওইদিন রাত ৯টার দিকে রেলওয়ে স্টেশন রোডের একটি হোটেলে উভয় পক্ষকে ডেকে নিয়ে মীমাংসা করে দেন। মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রাশেদুল হাসান বলেন, এ ধরনের কোনো বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করেননি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।