মাছুম বিল্লাহ : [২] ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সূত্রগুলোর বরাতে দেশটির গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। পত্রিকাটির বুধবার লিখেছে, প্রতিবেশি দেশগুলোকে ভারতের রাষ্ট্রদূতরা আশ^াস দিচ্ছেন গত এপ্রিল মাসে স্থগিত হওয়া ভ্যাকসিন সরবরাহ পুনরায় শুরু করতে আগ্রহী নয়াদিল্লি। ভ্যাকসিন উৎপাদন ঠিক থাকলে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের কেনা টিকাগুলো আগামী জুলায়ের শেষ বা আগস্টের শুরুতে সরবরাহ করবে ভারত।
[৩] দ্যা প্রিন্ট লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি আশা করছেন যে আগস্টের মধ্যে ৪০ শতাংশ ভারতীয়কে টিকা প্রদানের কাজ হবে। তখন প্রতিবেশি বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে টিকা দেয়া হবে।
[৪] গত মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, আমাদের উৎপাদন বাড়ছে, আমরা শিগগিরই বিশ^ব্যাপী টিকা সরবরাহ শুরু করবো। তিনি বলেন, আমরা কিছু প্রতিবেশিকে টিকা সরবরাহ করেছিলাম। কিন্তু দেশে করোনার দ্বিতীয় ডেউ আঘাত করায় তা বন্ধ করেছিলাম।
[৫] ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব কানওয়াল সিবাল দ্য প্রিন্টকে বলেছেন, ‘ভারত টিকা বন্ধ করায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশগুলি হতাশায় চীন ও রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে। তারা আর কী করতে পারে? তিনি বলেন, ভারতকে ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী’ পুনরায় চালু করতে হবে। কারণ ভারতকে নিরাপদ রাখতে হলে প্রতিবেশিদেরও নিরাপদ রাখতে হবে।