মাসুদ আলম : [২] মঙ্গলবার আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদাল রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মো. শহিদুল্লাহ বলেন, সোমবার যশোর ও নড়াইলে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক নারী পাচার চক্রের অন্যতম হোতা নদী আক্তার ইতি ওরফে জয়া আক্তার জান্নাত ওরফে নূর জাহানসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া অন্যরা হলেন- আল আমিন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, পলক মন্ডল, মো. তরিকুল ইসলাম ও বিনাশ শিকদার। টিকটক হৃদয় বাবু চক্রের সদস্য নদী। তিনিও টিকটকের মাধ্যমে পাচার হয়েছিলেন। ভারত, মালয়েশিয়া ও দুবাইয়ের নারী পাচার চক্রের সমন্বয়ক নদী।
[৩] তিনি আরও বলেন, পাচারের উদ্দেশ্যে আনা মেয়েদেরকে যশোর সীমান্তে বাড়িতে রেখে সুযোগ মতো ভারতে পাচার করত চক্রটি। পাচারকৃত প্রত্যেক মেয়ের জন্য স্থানীয় এক ইউপি সদস্য এক হাজার টাকা করে নিত। পাচারকালে কোনো মেয়ে বিজিবির কাছে আটক হলে সেই ইউপি সদস্য তাকে আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে আসত। নদীর স্বামী রাজীব বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। এরপর থেকেই নদী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। পাচারকৃতদের কাছ থেকে নদীর দশটির মতো নাম পাওয়া যায়।
[৪] ডিসি বলেন, আল আমিন হোসেন ২০২০ সালে ঈদ উল আযহার চারদিন পর নারী পাচার করতে গিয়ে বিএসএফ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হয়। পাচারের উদ্দেশ্যে আনা মেয়েদেরকে তার বাড়িতে রেখে সুযোগমতো ভারতে পাচার করত। সে নারী পাচারের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায় জড়িত।
[৫] তিনি আরও বলেন, সাইফুল ইসলামের শার্শার পাঁচভূলট বাজারে মোবাইল রিচার্জ ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ব্যবসা আছে। মানবপাচারে জড়িত ইসরাফিল হোসেন খোকন, আব্দুল হাই, সবুজ, আল আমিন ও একজন ইউপি সদস্য তার মাধ্যমে মানবপাচার থেকে অর্জিত অর্থ বিকাশে লেনদেন করে। পলক আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা নিতে আসা গ্রাম্য দরিদ্র মেয়েদেরকে ব্যাঙ্গালোরে তাসলিমা ওরফে বিউটির কাছে পাঠানোর মাধ্যমে নারী পাচারের হাতেখড়ি। পাচারকৃত মেয়েদেরকে আধার কার্ড প্রস্তু করে দেয়ার পাশাপাশি ‘সেফ হোম’ এ অবস্থান এবং ব্যাঙ্গালোরে নির্ধারিত স্থানে পাঠানোর দায়িত্ব নেয় সে। বিনাশ বেনাপোলে পাসপোর্ট ফরম পূরণের কাজ করতে গিয়ে মানবপাচারে জড়িয়ে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :