তরিকুল ইসলাম: [২] দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে লেখা চিঠিতে ভ্যাকসিন পাঠানোর বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে, কত ডোজ ভ্যাকসিন পাঠানো হবে এবং বাংলাদেশ কবে নাগাদ এটি পেতে পারে সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।
[৩] যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে মঙ্গলবার এ তথ্য জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার অতিরিক্ত ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা রয়েছে। সেটা তারা ব্যবহার না করায় আমরা চেয়েছি।
[৪] যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন চেয়েছি। কোভ্যাক্সের বাইরেও তাদের কাছ থেকে আমরা ভ্যাকসিন সহযোগিতা চেয়েছি। সেটা হোক অনুদান অথবা ক্রয়, আমরা চাই তারা আমাদের ভ্যাকসিন দিয়ে সহযোগিতা করুক।
[৫] কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের পাশাপাশি এশিয়ার ১৮টি দেশকে নতুন করে ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। এ ছাড়া বিশ্বের আরও ৩০টি দেশ ও জোটকে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যে ১ কোটি ৪০ লাখ টিকা দেবে, সেই তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে।
[৬] তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও যুক্তরাজ্যে, কানাডা, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি ও সুইডেনে অতিরিক্ত ভ্যাকসিন মজুদ থাকায় দেশগুলোকে চিঠি দিয়ে ভ্যাকসিন কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে দেশগুলোর সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
[৭] পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১০ থেকে ২০ এপ্রিল চিঠি পাঠলেও দেশগুলো থেকে এখনও কোনো সাড়া পাওয়া জায়নি বলে জানিয়েছেন মোমেন।
[৮] তিনি বলেন, যে কোনো একটি বা দুটি উৎস থেকে টিকা পেলে প্রথম ডোজ পাওয়া ব্যক্তিদের দ্বিতীয় ডোজ পেতে সমস্যা হবে না।
[৯] বাংলাদেশের জন্য ভ্যাকসিন চেয়ে প্রবাসী বাংলাদেশি ডা. এ এফ এম হকের নেতৃত্বে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপকসহ দেশটিতে প্রতিষ্ঠিত ১০১৪ জন প্রফেশনাল প্রবাসী বাংলাদেশি-আমেরিকান স্বাক্ষরিত একটি আবেদন হোয়াইট হাউজে পাঠনো হয়েছে।
[১০] এছাড়া বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখা, মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল এবং জরজিয়ার স্টেট সিনেটর শেখ রহমানও বাংলাদেশের জন্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা ভ্যাকসিন চেয়ে হোয়াইট হাউসকে অনুরোধ করেছেন।
[১১] ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্র বলছে, বাংলাদেশের করোনার আক্রান্তের হার ও মৃতের সংখ্যা তূলনামুলকভাবে কম থাকায় বাংলাদেশ অগ্রাধিকার তালিকায় না থাকলে এখন দেশটি ভ্যাকসিন পাঠতে চাচ্ছে। এটা আমাদের সম্মিলিত চেস্টার ফসল।
[১২] ভ্যাকসিন চেয়ে এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলারের সঙ্গেও বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সে সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, এ জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
[১৩] ভ্যাকসিন দিতে ফেডারেল ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এফডিএ অনুমতির প্রয়োজন। এই জটিলতায় যুক্তরাষ্ট্র এখনও কোনো দেশকে ভ্যাকসিন পাঠায়নি।