শরীফ শাওন: [২] পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯-এর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে একটি রিকভারী গাইডলাইন তৈরি করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
[৩] মঙ্গলবার ইউসিজি বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গাইডলাইনটি আজ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়েছে।
[৪] গাইডলাইনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত/ বিদ্যমান একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময়কাল উল্লেখযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য ভাবে কমিয়ে আনতে হবে; সেমিস্টার/ টার্ম বা বার্ষিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে ব্যবহারিক বিষয়সহ সকল বিষয়ের ক্লাস/ ক্লাস টেস্ট/ এসাইনমেন্ট/ কুইজ/ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা প্রচলিত সময়ের চেয়ে কম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন ছুটি (Summer Vacation, Winter Vacation, Festival Vacation) কমানো যেতে পারে বা ছুটি পরিহার করা যেতে পারে।
[৫] আরও বলা হয়, প্রতিটি ক্লাসের (তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক) সময় বর্তমানের মতোই বলবৎ থাকবে অর্থাৎ লেকচারের সময় কমানো যাবে না। তবে লেকচারের সংখ্যা কমানোর প্রয়োজন হলেও পুরো সিলেবাসের পাঠদান সম্পন্ন করতে হবে; একাডেমিক ক্যালেন্ডারের সময় কমানোর স্বার্থে ক্লাস টেস্ট/ কুইজ/ মিডটার্ম পরীক্ষা/ এসাইনমেন্ট/ টার্ম পেপারের ন্যায় বিষয়গুলো নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে; চূড়ান্ত পরীক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার প্রস্তুতিমূলক ছুটি (Preparatory Leave), , দুটি বিষয়ের পরীক্ষার মাঝের গ্যাপ ও বর্ষ/ সেমিস্টারের/ টার্মের মাঝের গ্যাপ (Inter Semester/Term/Year Break) কমানো যেতে পারে; সর্বোপরি রিকভারি পরিকল্পনা গ্রহণ করে তা একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত হওয়ার পর শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই অনুমোদিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার শিক্ষার্থীদের অবহিত করে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে এবং প্রণীত একাডেমিক ক্যালেন্ডার বাস্তবায়নে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
[৬] গত ৩১ মে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি ও উপাচার্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও বাস্তবতা অনুযায়ী একটি রিকভারী গাইডলাইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, এমপি’র সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চেীধুরী, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ যুক্ত ছিলেন।