আমিরুল ইসলাম : [৩] বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও শ্রমিক নেতা মনজুরুল আহসান খান বলেন, মোটরচালিত রিকশা ও ভ্যানে এতো বেশি দুর্ঘটনা হয় না, অন্য বড় বড় গাড়ি দুর্ঘটনা ঘটায় বেশি। [৪]মোটরচালিত রিকশার গতি নিয়ন্ত্রণ করে চলতে দেওয়া উচিত। সাধারণ মানুষের জন্য চলাচল ও জীবিকা অর্জনের একটি সহজ পথ হচ্ছে মোটরচালিত রিকশা, ভ্যান। এটা বন্ধ করা উচিত নয়।
[৫] গ্রামাঞ্চলে যানবাহনের সমস্যা প্রকট। মোটরযান চালিত রিকশা আবিষ্কারে মানুষের বিরাট উপকার হয়েছে। কারণ প্যাডেল রিকশায় পরিশ্রম বেশি, চালকেরা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
[৬] নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, রিকশা-ভ্যান মটরচালিত হওয়ায় তারা হাইওয়েতে ওঠে যায়, এটা একেবারেই ঠিক নয়। পরিবহনের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, সেটা থাকা উচিত। [৭] আলাদা লেন থাকলে অসুবিধা হয় না। কিন্তু মোটরচালিত রিকশা-ভ্যানের চালকেরা নিজস্ব লেনে থাকতে চান না, তারা আইন মানতে চান না। রিকশা-ভ্যানকে অনুমোদন দেওয়া হলে অবশ্যই আলাদা লেন থাকতে হবে।
[৮] বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, মোটরচালিত রিকশা-ভ্যানের সঙ্গে জীবন-জীবিকার প্রশ্ন যুক্ত হয়ে গেছে। ফলে তাদের অন্যভাবে পুনর্বাসিত করা ও মোটরচালিত রিকশা-ভ্যানকে আধুনিক যান উপযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে মনোযোগ দেওয়া দরকার। [৯] করোনায় অনেক মানুষ জীবিকা হারিয়েছে, বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে গেছে। এমন সময় বিপুলসংখ্যক মানুষকে বেকার করে দিলে সামাজিক অস্থিরতা ও বেকারত্ব বাড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :