আব্দুল্লাহ মামুন:[২] অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, অপসংস্কৃতির বিকল্প হিসেবে অনলাইনে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান অর্জনের অবাধ সুযোগ রয়েছে। সাইবার অপরাধ রোধে সচেতনতা অনেক কম, বিচার ব্যবস্থারও পরিবর্তন প্রয়োজন। বর্তমানে সাইবার অপরাধ নতুনরূপে বিস্তার পেয়েছে, সেই তুলনায় সচেতনতার অভাব। প্রচলিত আইনের সীমাবদ্ধতা থাকায় অনেক অপরাধী ছাড়া পেয়ে যায়, তা আধুনিক করতে হবে।
[৩] তিনি আরও বলেন, সাইবার অপরাধ রোধে প্রচারণা ও সামাজিক অনুষ্ঠান বাড়াতে হবে। এই সংস্কৃতি অনেকটা সেকেলে মনে হলেও বর্তমানে উন্নত দেশগুলো সামাজিক সংস্কৃতি উন্নয়নে কাজ করছে।
[৪] জিয়া রহমান বলেন, মহামারিতে স্কুল-কলেজ বন্ধে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে সময় বাড়ছে যা অনাকাঙ্খিত। অপরাধীরাও অনলাইনে নানা ধরণের অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করছে।
[৫] তিনি আরও বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা বাড়াতে হবে।
[৬] সাইবার ইনভেস্টিগেশন ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলেন, সাইবার অপরাধের শিকার বেশির ভাগই অভিযোগ করেন না। তবে কেউ অভিযোগ করলেও পরবর্তীতে সহায়তা করতে চায় না।
[৭] তিনি আরও বলেন, পুলিশের দায়িত্ব সবার শেষে, অপরাধ যখন মারাত্মক পর্যায়ে যায় তখনই পুলিশ জড়িত হয়। স্কুল, কলেজ ও পরিবারের সক্রিয় ভ‚মিকা প্রয়োজন।
[৮] তিনি আরও বলেন, ‘গুগল ফ্যামিলি লিংক’ নামে একটি অ্যাপস আছে, এটি ব্যবহারে সহজে বাচ্চাদের ডিভাইস ব্যবহারে সঠিক নির্দেশনা ও তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব। সম্পাদনা: মেহেদী হাসান