লিহান লিমা: [২] রোববার এক বিবৃতিতে তালেবান বলেছে, তারা আফগান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কিন্তু একমাত্র ‘সত্যিকারের ইসলামী ব্যবস্থা’ই আফগানিস্তানে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি আনতে পারে যেখানে আফগান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ধর্মীয় অনুশাসনের সঙ্গে সংগতি রেখে নারী অধিকারও নিশ্চিত করা হবে। সিএনএ
[৩] রোববার তালেবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা চলে যাওয়ার পর দেশের শাসনব্যবস্থা কেমন হবে, তা নিয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্রশ্ন রয়েছে। আমরা শান্তি আলোচনার মধ্য দিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে সব বিষয় সমাধানে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি আফগানিস্তানের সব অমীমাংসিত বিষয় সমাধানে সত্যিকারের ইসলামি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাই শ্রেষ্ঠ উপায়।’
[৪]আব্দুল গনি জানান, ‘ধর্মীয় বিধি ও আফগান ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নারী-পুরুষ সবার অধিকার নিশ্চিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আফগানিস্তানে নারী ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেয়া হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পাশাপাশি নারীরা ঘরের বাহিরে কাজ করতে পারবেন। এ ছাড়া কূটনীতিক ও এনজিও কর্মীরাও নির্বিঘ্নে কাজ করবেন।’
[৫] বিবৃতিটি এমন এক সময় এসেছে যখন আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে শান্তি আলোচনায় ধীরগতি হচ্ছে ও আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন সেনা প্রত্যহারের পূর্বেই দেশজুড়ে সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে তালেবান ৪০টি জেলা দখল করেছে। তালেবানদের প্রভাব বাড়তে থাকার মুখে নিরাপত্তা বিষয়ক দুই মন্ত্রীকে সরিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
[৬]২০০১ সালে তালেবানকে ক্ষমতাচ্যুত করে মার্কিন বাহিনী। তালেবানের শাসনামলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিলো এবং ঘরের বাহিরের নারীর কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা ছিলো।