তাপসী রাবেয়া: [২] ভারতে পাচার হওয়া নারীদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করা দুই বেসরকারি সংস্থা জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি ও রাইটস যশোর জানিয়েছে, দেশটির পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর সেখানকার সরকারি ও বেসরকারি সেফহোমে এখনো ৫০ জনের বেশি নারী রয়েছেন। বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সহায়তায় তাঁদের ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে।
[৩] সংস্থা দুটির দাবি ও প্রথম আলো পত্রিকার এক জরিপ বলছে , পাচারের শিকার হওয়া নারীদের ৯০% নিম্নবিত্ত পরিবারের। আর ৯৫ শতাংশকে ভারতে ভালো চাকরির লোভ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে তাঁদের মানব পাচার চক্রের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এই নারীদের বেশির ভাগকে জোর করে যৌন পেশায় বাধ্য করা হয়।
[৪] ২৫০টি ঘটনায় ভুক্তভোগীদের ১৫৪ জনের বয়স জানা গেছে। এর মধ্যে ৭১টি কিশোরী, ৪৭ জনের বয়স ১৯ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে, ৩১ জনের বয়স ২৬ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। বাকি ৪ জনের বয়স এর চেয়ে বেশি।
[৫] বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক পুলিশ সদর দপ্তরের বরাত দিয়ে জানায়, ২০০৮ থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত পাচারের ঘটনায় দেশে ও দেশের বাইরে ৬ হাজার ৭৩৫টি মামলা হয়েছে।
[৬] ভারত থেকে যে ২ হাজার নারীকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জনকে ফিরতে সহায়তা করেছে জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি। আর রাইটস যশোর সহায়তা করেছে ৪০০ জনকে। বিগত কয়েক বছরে ফিরিয়ে আনা নারীর সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। যেমন ২০২০ সালে দুই সংস্থার সহায়তায় ফেরত আসতে পেরেছেন ৬৯ জন। আগের বছর সংখ্যাটি ছিল ১৭৬।
[৭] স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন বলছে, ২০১৯ ও ২০২০ সালে ৫৩টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি মামলায় আসামিদের সাজা হয়েছে। সাজা হওয়া মামলায় আসামিদের ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদÐ হয়। ২০২০ সালে ১৪টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। এর মধ্যে সাজা হয়েছে একটিতে।