বাশার নূরু: [২] মুজিববর্ষে সরকারের উপহার হিসেবে দ্বিতীয় পর্যায়ে ঘর ও জমি পাচ্ছেন আরও ৫৩ হাজারেরও বেশি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় এসব পরিবারকে বিনামূল্যে দুই শতক জমি ও সেমিপাকা ঘর করে দেয়া হচ্ছে।
[৩] বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
[৪] এর আগে প্রথম দফায় গত ২৩ জানুয়ারি দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ গৃহ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
[৫] ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর সর্বপ্রথম জাতির পিতাই দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন-ছিন্নমূল অসহায় পরিবার পুনর্বাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব উদ্যোগে ১৯৯৭ সনে শুরু হওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১৯৯৭ সাল থেকে মে ২০২১ পর্যন্ত সময়ে মোট ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৫৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে (ব্যারাক, বিশেষ ডিজাইনের ঘর, নিজ জমিতে ঘর, দুই শতক জমিসহ দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সেমিপাকা একক গৃহ ইত্যাদি)।
[৬] তিনি বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সব ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
[৭] এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারের সিনিয়র সচিব ও সচিবরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে ১৬০টি পরিবারকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন বলে জানান ড. আহমদ কায়কাউস। এছাড়া জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে বহুতল ভবনে একটি করে ফ্ল্যাট প্রদানের মাধ্যমে এ পর্যন্ত চার হাজার ৪০৯টি পরিবারকে খুরুশকুল বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
[৮] মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মাহবুব হোসেন, উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) জাহেদুর রহমান প্রমুখ।