রাশেদা রওনক খান: জেদ্দাতে আসার পর থেকেই দেশটির একেকটি পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি, যা আমাকে বেশ অবাক করছে। ছোটবেলা হতে যে সৌদি আরবের গাল গপ্পো শুনে বড় হয়েছি, তা হতে এখন তা অনেকটাই ভিন্ন । মেয়েরা ছেলেদের সাথে পাল্লা দিয়ে কাজ করছে পাবলিক স্পেসে । দেখেই ভালো লাগে। ভিনদেশি কিংবা কূটনীতিক পরিবারের নারীদের পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ কিছুটা আগের তুলনায় শিথিল করা হয়েছে।
নীতিমালায় চলছে নানারকমের পরিবর্তন। প্রথম যেটা দেখলাম, ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘোষণা করলো যে, সব লাউড স্পিকার সর্বোচ্চ যত জোরে বাজানো যায়, তার এক তৃতীয়াংশ ভলিউমে বাজাতে হবে। ফলে বাসার সামনের যে মসজিদ একেবারেই দৃষ্টিসীমানার মাঝেই, সেটা হতে আজান এর আওয়াজ শুনতেও কান পেতে থাকতে হয়।
সুমধুর আওয়াজ শোনার জন্য ‘আমি কান পেতে রই’ ই তো হবার কথা! আজ আরেকটি সংবাদ এলো, পুরুষ সঙ্গী ছাড়াই এবার হজের জন্য নিবন্ধিত হতে পারবেন নারীরা। হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, এখন থেকে অন্য নারীদের সঙ্গে দলবদ্ধভাবে হজ করতে পারবেন নিবন্ধিত নারীরা। এগিয়ে যাচ্ছে সময়, সবাই । আমরাই কেবল যাচ্ছি পেছনে, যতোটা পেছনে গেলে নারীই থাকবে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের রক্তচক্ষুর দিক-নিশানার লক্ষবিন্দু! ফেসবুক থেকে