শরীফ শাওন, জেরিন আহমেদ: [২] ছাত্রসংগঠনগুলোর দাবি, অবিলম্বে রোড ম্যাপ ঘোষণাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া; বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রস্তাব প্রত্যাহার; এবং করোনাকালিন সময়ে শিক্ষার্থীদের বেতন ফি মওকুফ করা।
[৩] বুধবার দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট ও প্রেসক্লাব হয়ে সচিবাবালয় গেটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামনে গেলে পুলিশ বেরিক্যাড দিয়ে অবস্থান নেয়। বেরিক্যাড ভেঙে এগুতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে শিক্ষার্থীরা। পরে সেখানেই অস্থান নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচিজ শেষ করেন।
[৪] সমাবেশে ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদ) সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, শুধু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যকর চলছে না। এতে ভায়বহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে দেড় কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন।
[৫] সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) সভাপতি আল কাদেরি জয় বলেন, এটা আসলে কোনও শিক্ষামন্ত্রী না, এই মন্ত্রীকে বলা উচিৎ সার্কাস মন্ত্রী। সার্কাস মন্ত্রী হিসেবে দীপু মনি জনগণের যে শিক্ষার অধিকার, ছাত্রদের যে শিক্ষার অধিকার তা নিয়ে সার্কাস খেলছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে একের পর এক তারিখ ষোষণা করছেন।
[৬] মিছিলে 'ভোট চলে, সংসদ চলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে করোনা ধরে,' 'অচল ক্যাম্পাস সচল কর, শিক্ষাজীবন রক্ষা করো' ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকেন নেতা-কর্মীরা।