শিরোনাম
◈ দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, আটকা ১৭৮ যাত্রী ◈ প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ প্রস্তুত ◈ আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির ◈ ১৬ দিনে এলো ২০৪১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় ◈ কিছু মহল এখনো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ নির্বাচন পিআর এর মাধ্যমে হবে না, সেটা তো হবে সংবিধান সংশোধনের পরে: নজরুল ইসলাম  খান  ◈ এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল : বিবৃতিতে তারেক রহমান ◈ ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা  ◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০২১, ০৯:২২ রাত
আপডেট : ১৫ জুন, ২০২১, ০৯:২২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মিয়ানমারের আদালতে বিচার চলছে সু চির, আন্তর্জাতিক সমর্থন পেলেও ‘গ্রহণযোগ্যতা’ হারিয়েছেন একসময়ের গণতন্ত্রের মানসকন্যা

লিহান লিমা: [২] সোমবার মিয়ানমারের রাজধানীতে শুরু হয়েছে গত ফেব্রুয়ারির সেনা অভ্যূত্থানে ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি-র বিচার। সু চির বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে ওয়াকি-টকি রাখা, মহামারীর বিধি ভেঙ্গে নির্বাচনী প্রচারণা, দেশের গোপন তথ্য বিদেশে পাচার, ঘুষ নেয়াসহ দেশজুড়ে বিক্ষোভ উস্কে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার শুনানি ২৬ জুলাই পর্যন্ত চলতে পারে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা। আল জাজিরা

[৩] দোষী প্রমাণিত হলে মোটা অঙ্কের অর্থদণ্ডসহ কমপক্ষে ১৫বছরের কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে। এছাড়া সু চি-র বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হওয়ায়, তার দল আপাতত সরকার চালাতে বা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।

[৪] মিয়ানমারের রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিচার্ড হর্সলে বলেন, ‘সময় যতো ঘনিয়ে আসছে সু চিকে মুক্তি দেয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। উপরুন্ত জেনারেল মিন অং হ্লিয়াং সু চি ও এনএলডির প্রভাবমুক্ত একটি রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করতে চাইছেন।’

[৫] রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আদালতে সামরিক জান্তার পক্ষে সাফাই গেয়ে নিজের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করেছেন সু চি। হর্সলে বলেন, ‘অভ্যুত্থানের এই সময়ে তার যখন আন্তর্জাতিক সমর্থন সবচেয়ে জরুরি ছিলো তখন তিনি তার আন্তর্জাতিক সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতাকে নষ্ট করে বসে আছেন। শুধু রোহিঙ্গা ইস্যুতেই নয়, অনেক ক্ষেত্রেই তিনি নীতি হারিয়েছেন। সরকারে যুক্ত থাকাকালে গণমাধ্যম, সুশীল সমাজ ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে তার অবস্থান মোটেও গ্রহণযোগ্য ছিলো না। তিনি সাংবাদিক ও সমালোচকদের বন্দির পক্ষে সাফাই গেয়েছেন।’

[৬] অধিকারকর্মী ও বিক্ষোভের নেত্রী থিনজার সুনলেই ইয়ি বলেন, ‘আমার নারী অধিকার কর্মী হওয়ার পেছনে সু চিই ছিলেন প্রেরণা। কিন্তু যখন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু হলো আমি তার বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করি। কিন্তু আমাকে তখন তোপের মুখে পড়তে হয়েছিলো। এখনো মিয়ানমারের মানুষ সু চির কথা চিন্তা করে কাঁদছেন। কিন্তু সু চি যদি জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে চলা সশস্ত্র বিপ্লবের বিরুদ্ধে কিছু বলে বসেন আমরা অবাক হবো না। তিনি বর্তমান সংবিধান কর্তন বা রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করতেও মত দেবেন না।’

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়