মহিউদ্দিন আহমেদ: বিষয় : বীর মুক্তিযোদ্বার মৃত্যুতে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার জন্য মহিলা ইউএনও চাই না, মুক্তিযুদ্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সুপারিশ। শাজাহান খান যখন মন্ত্রী ছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন, তিনি মন্ত্রীর পদের চাইতে পরিবহন শ্রমিক নেতার পদকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বিএনপি-জামায়াত জামানায় দেশে প্রাইভেট বাস মালিকদের ব্যবসার স্বার্থে, বিআরটিসির বাস বন্ধ করার দাবি এবং আন্দোলন-সংগ্রামে তার সাথে গভীর দোস্তালী ছিলো বগুডার বিএনপি দলীয় এমপি এবং বাংলাদেশ বাস-ট্রাক সমিতির তখনকার সভাপতি জি এম সিরাজের সাথে। এখানে বিএনপিকে বর্জন করার কোনো উদ্যোগ ছিলো না, কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তমের বর্ণনায়, এককালের ‘জাসদ সন্ত্রাসী’ শাজাহান খানের।
এই লোকের উশৃঙ্খল আচরণের কারণে আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় ক্ষমতাবান ব্যক্তি, সডক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়েদুল কাদেরও পরিবহন খাতকে নিয়ম এবং শৃঙ্খলায় আনতে ব্যর্থ হয়েছেন। শাজাহান খান চাইলে দেশের যেকোনো জায়গায়, যেকোনো সময় পরিবহন খাতের শ্রমিকরা বিনা নোটিসে হরতাল-ধর্মঘট সফলজনকভাবে পালন করতে পারে। লাখ লাখ বাসযাত্রীর দুঃখ-কষ্ট শাজাহান খানের কোনো বিবেচনার বিষয় কোনোকালেই ছিল না। এখন এখন এই লোক মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের আর একটি পক্ষের সাথে মারমারি করছেন। এখন দেখছি,এই লোকও জামায়াত-হেফাজতীদের নীতি-আদর্শ ধারণ করেন, লালন-পালনও করেন; আমাদের মহিলাদের তিনি পুরুষদের সমান হতে দেবেন না, তাও মুক্তিযুদ্ব বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পার্লামেন্টারি কমিটির সভাপতি হয়ে। মুক্তিযুদ্ধে আমাদের মা-বোনরা কি যুদ্ধ করেননি? ফেসবুক থেকে