ভূঁইয়া আশিক রহমান: [২]সংবিধানপরিপন্থী কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান [৩] মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেন, ‘গার্ড অব অনার’ রাষ্ট্রপতিকর্তৃক গ্রেজেটভুক্ত স্বীকৃতি, মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই সম্মান জানানো হয়। যারা রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন, তারাই মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানাবেন। এখানে কে নারী, কে পুরুষ তা কোনোভাবেই বিবেচনার বিষয় নয়।
[৪] বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের জনপ্রতিনিধরা এরকম হঠাৎ হঠাৎ অদ্ভুত সব নিয়ম কেন আবিষ্কার করছেন, বুঝলাম না! দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নারী বা পুরুষ হোকÑ তিনি তার দায়িত্ব পালন করবেন। নারী হওয়ার কারণে ‘মুক্তিযোদ্ধাদের গার্ড অব অনার’ দিতে পারবেন না, বাদ যাবেন, এমনটি হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
[৫] তার মতে, জনপ্রতিনিধিরা নিজেদের ইচ্ছামতো সব করছেন, কোনো জবাবদিহিতা নেই। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই সুপারিশ অগ্রহণযোগ্য।
[৬] বিভিন্ন জায়গা পশ্চাৎপদ চিন্তাভাবনা ও সংবিধানবিরোধী লোকজন অবস্থান করছে। তারা নারী উন্নয়ন, সমাজ-প্রগতি, সংবিধানের গ্রহীত নীতির বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কিছুতেই এ ধরনের কাজ মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অবশ্যই এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
[৭] নারী অধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান বলেন, যেখানে পুরুষ নেই, সেখানে নারী কর্মকর্তাকেই মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ দিতে হবে। কিন্তু নারী কর্মকর্তার যদি কোনো শারীরিক সমস্যা থাকে, তাহলে তিনি দ্বিতীয় কারও কাছে সেই দায়িত্ব অর্পন করবেন।
[৮] নারী বলে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া যাবে না, এটা হতে পারে না। কেন দিতে পারবেন না, এটা তো জানাজা নয়। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু