আব্দুল লতিফ: [২] টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী বাজারের পরিত্যক্ত এলজিইডি অফিসের চারপাশে উঁচু গাছপালা থাকায় পাখিদের বসবাসের জন্য নিরাপদ এক আশ্রয় হয়ে উঠেছে।
[৩] দীর্ঘদিন ধরে এলজিইডি অফিসের বড় বড় গাছের বিভিন্ন ডালে প্যাঁচাদের বসবাস দেখে আসছে এলাকাবাসী। ঘন জঙ্গলে আচ্ছাদিত থাকায় প্যাঁচাদের জন্য এক অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে পরিত্যক্ত এই অফিসটি। প্যাঁচা একটি শিকারি পাখি। এরা নিশাচর প্রাণী। এরা সাধারণত পত্র ঝরা বনে বাস করে। প্যাঁচা কাঠঠোকরার তৈরি করা গর্তে বা পাহাড়ে বাসা বানায়। প্রজনন মৌসুমে ৫ থেকে ৭টি ডিম দেয়। ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে সময় লাগে প্রায় এক মাস। এরা সাধারণত ছোট পাখি শিকার করে। তবে মজার বিষয় হলো, এদের শরীরের তিনগুণ বড় শিকারও এরা আক্রমণ করতে পারে। বামন প্যাঁচার মাথার পেছনে চোখের মতো চিহ্ন রয়েছে, যা এদের আত্মরক্ষায় কাজে লাগে। অন্যান্য প্যাঁচা নিশাচর হলেও এরা দিনের বেলাতেও শিকার করে। আক্রমণাত্মক শিকারি পাখি হলেও আদতে এরা লাজুক প্রকৃতির পাখি।
[৪] টাঙ্গাইল সরকারি সাদত কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন বলেন, প্যাঁচা নিয়ে সমাজে নানা কুসংস্কার থাকলেও বাস্তবে এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই। প্রযুক্তির ব্যবহার, গাছগাছালি কমে যাওয়া, মানুষের নির্মম আচরণ এসব নানা কারণে প্যাঁচা অনেক কমে গেছে।
[৫] সাগরদিঘী বন বিট অফিসের কর্মকর্তা সিদ্দিক মিয়া বলেন, প্যাঁচা একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। এ পাখিটি সচরাচর দেখা যায় না। সাগরদিঘীর পুরোনো এলজিইডি অফিসে ঘন জঙ্গল বা বড় বড় গাছ থাকায় এরা এখানে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। সম্পাদনা: হ্যাপি