শরীফ শাওন: [২] গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ণ কেন্দ্রের বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা শ্রমিকদের জন্য রেশন, চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবি জানান। সংসদের স্পিকারে কাছে স্মারকলিপিও পেশ করতে যান।
[৩] বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে সংগঠনের পক্ষে বিক্ষোভকালে বক্তারা বলেন, শ্রমিকের জন্য বা শ্রমশক্তি উন্নয়নে জাতীয় বাজেটে কোন বরাদ্দ না থাকা এই প্রস্তাবিত বাজেটের গণবিরোধী রূপকেই প্রকাশ করে।
[৪] বক্তারা আরও বলেন, চলমান বৈশ্বিক মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের প্রায় সকল খাতের শ্রমিক, কর্মকর্তা, কর্মচারি সংক্রমণ এড়াতে ছুটি ভোগ করলেও গার্মেন্ট শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কারখানায় কাজ করেছে। বিনিময়ে ঝুঁকি ভাতা না পাওয়া এবং অর্ডার বাতিলের অযুহাতে শ্রমিকদের ৪০ শতাংশ বেতন ও ঈদের বোনাস কর্তন করেছে। ফ্রন্ট লাইনাররা সবাই ইতোমধ্যে করোনার টিকা পেলেও গার্মেন্ট শ্রমিকরা কবে টিকা পাবে সেটা কেউ জানে না।
[৫] টিইউসি’র সভাপতি মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদারসহ অন্যান্য শ্রমিকনেতারা বলেন, বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক হলেও বিশ্বে সর্বনিম্ন মজুরিদাতা। বর্তমানে বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে কয়েক দফা। আজকের বাজারে গার্মেন্ট শ্রমিকরা যে মজুরি পায় সেটা দিয়ে কোনভাবেই তাদের জীবন চলে না।
[৬] তারা বলেন, গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকরা বর্তমানে তীব্র দমন-পীড়ন-নির্যাতন ও শোষণের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছে। উত্থাপিত বাজেটে মালিকদের অনুকূলে রাষ্ট্রীয় নানান সুযোগ সুবিধা ও রেয়াত ইত্যাদি আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে।