অনন্যা আফরিন, তাহেরুল আনাম : [২] বুধবার দিবাগত রাত ১২:০১ মিনিটে দিনাজপুর জেলা কারাগারে এই ফাঁসি কার্যকর হয়।
[৩] এ সময় জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী, পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুছ ছাড়াও রংপুর ডিআইজি (প্রিজন) আলতাফ হোসেন, কারা চিকিৎসকসহ পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
[৪] এর আগে বিকালে আব্দুল হকের পরিবারের ১৫ সদস্য (নিকটআত্নীয়) শেষ সাক্ষাত করে যান। তারা তার সাথে দীর্ঘ প্রায় ১ ঘন্টা যাবৎ কথা বলে খাবার খাইয়ে চলে যান। এরপর সন্ধ্যায় জেলা কারাগার মসজিদের ইমাম কারা অভ্যন্তরে গিয়ে আব্দুল হককে অজু, গোসলের পর তওবা পাঠ করান। ফাঁসি কার্যকরের পর মৃত্যু নিশ্চিত হলে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে তার লাশ পরিবারের সদস্যদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
[৫] জানা গেছে, রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর চৌধুরীপাড়া এলাকার মৃত আছির উদ্দীনের পুত্র মোঃ আব্দুল হক ২০০২ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে তার স্ত্রীকে হত্যা করে। পরে আব্দুল হকের শ্বাশুড়ী বাদী হয়ে ২০০২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী মিঠাপুকুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ২০০৭ সালের ৩ মে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ আব্দুল হককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। পরবর্তীতে হাইকোর্ট ও সুপ্রীমকোর্টে সাজা বহাল থাকায় সর্বশেষ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন করেন আব্দুল হক।
[৬] রাষ্ট্রপতি সবকিছু বিবেচনায় গত ১৮ মে প্রাণভিক্ষার আবেদন না মঞ্জুর করলে ফাঁসি কার্যকরের উদ্যোগ নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল ৯ জুন দিনাজপুর জেলা কারাগারে আব্দুল হকের ফাঁসি কার্যকর করা হলো। একটি সুত্র জানায়, দিনাজপুর জেলা কারাগারে ফাঁসি কার্যকর করতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অহিদুল ইসলাম নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বন্দিকে জল্লাদ হিসেবে আনা হয়।
[৭] দিনাজপুর জেল সুপার মো.মোকাম্মেল হোসেন লাল রুমাল ফেলে ফাঁসির সংকেত দেন বলে জানা যায়।উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ২৮ আগষ্ট থেকে আব্দুল হক কারাগারে বন্দি ছিলেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ