আবু মুত্তালিব: [২] বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের চত্ত্বরে ফুলগাছ খাওয়ার অপরাধে ছাগলকে ৫দিন আটকে রাখার পর ২ হাজার টাকা জরিমানা করে অবশেষে বাজারে বিক্রি করা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিনকে অবশেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। বুধবার ( ৯জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার সীমা শারমিন।
[৩] তিনি বলেন তাকে জনস্বার্থে জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রশিক্ষণ ইনষ্টিটিউট (এনআইএলজি) বিভাগে উপ পরিচালক হিসাবে বদলী করা হয়। গত মঙ্গলবার (৮ জুন) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে বদলির আদেশ সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রালয় প্রেষণ-১ অধিশাখার উপসচিব মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ স্বাাক্ষরিত একটি চিঠি পাঠানো হয়।
[৪] আদমদীঘি উপজেলা ক্যাম্পাস চত্বরে পার্কে ফুলগাছ খাওয়ার অভিযোগ গত ১৭ মে ইউএনও একটি ছাগলের মালিকের ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা করার ৯ দিন পর এই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনায় আসলে গত ২৭ মে জরিমানার টাকা ইউএনও নিজে ফেরত দিয়ে ছাগল সাহারা বেগমের কাছে ফিরিয়ে দেন। এরপর ইউএনও বলেছিলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ওই নারীকে ছাগল ফেরত দেয়া হয়েছে।
[৫] জরিমানার টাকা আমি দিয়েছি। তাকে সংশোধনের জন্য জরিমানা করেছিলাম, শাস্তি দেয়ার জন্য নয়।’ গত ১৭ মে উপজেলা পরিষদের ফুলগাছ খেয়ে ফেলেছিল সাহারা বেগমের ছাগল। এ জন্য ছাগলটিকে আটক করে ইউএনও দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ বিষয়ে সীমা শারমিন জানান, উপজেলা চত্বরে একটি পার্ক করা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফুলের গাছ নিয়ে এসে লাগানো হয়েছে। কিন্তু এখানে ওই ছাগল এসে গাছের ফুলগুলো খেয়ে নিয়েছে কয়েক বার। এ বিষয়ে ছাগলের মালিককে সতর্ক করা হয়েছে।
[৬] কিন্তু তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি। এ কারণে গণ-উপদ্রব আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আদমদীঘি উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু জানান, ইউএনও বদলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তার বদলী স্বাভাবিক নিয়মেই করা হয়েছে। এতে ছাগলের বিষয়ে কোন সম্পর্ক নেই।