লিহান লিমা, জেরিন আহমেদ: [২] ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ২০২১ সালে বিশ্বের ১৪০টি শহরের উপর জরিপ প্রকাশ করেছে। স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো বিবেচনা করে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়, এবার এতে অর্ন্তভূক্ত হয়েছে করোনা মহামারী মোকাবেলার মানদণ্ডও। গার্ডিয়ান
[৩]তালিকায় একশো সূচকের মধ্যে ৯৬ নম্বর পেয়ে বিশ্বের সেরা বাসযোগ্য শহরের স্থান নিয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। সেরা দশ শহরের মধ্যে এরপরই রয়েছে জাপানের ওসাকা , অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডেলেড, নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটন, জাপানের টোকিও, অস্ট্রেলিয়ার পার্থ, সুইজারল্যান্ডের জুরিখ, জেনেভা, অস্ট্রেলিয়ার মেলর্বোন(৯ম) ও ব্রিসবেন (১০ম)।
[৪]তালিকার সবচেয়ে বিশ্বের সবচেয়ে কম বাসযোগ্য ১০ শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে সিরিয়া (১৪০তম)। ১০০ সূচকের মধ্যে শহরটির পয়েন্ট ২৬.৫।
[৫]বাংলাদেশের ঢাকার অবস্থান ১৩৭তম, পয়েন্ট ৩৩.৫। এর মধ্যে স্থিতিশীলতায় ৫৫, স্বাস্থ্যসেবায় ১৬.৭, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৩০.৮, শিক্ষায় ৩৩.৩ ও অবকাঠামোয় ৪৬.৪।
[৬]সবচেয়ে কম বাসযোগ্য ১০টি শহরের মধ্যে আরো রয়েছে নাইজেরিয়ার লাগোস, পিএনজির পোর্ট মোর্সবে, আলজেরিয়ার আলজিয়ার্স, লিবিয়ার ত্রিপলি, পাকিস্তানের করাচি, জিম্বাবুয়ের হারারে, ক্যামেরুনের দৌয়ালা ও ভেনেজুয়েলার কারাকাস।
[৭]ইআইইউ জানায়, করোনা মহামারী বিশ্বব্যাপী বাসযোগ্য পরিস্থিতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। মহামারীর পূর্বের চেয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শহর অনেক কম বাসযোগ্য হয়ে পড়েছে। কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য অকল্যান্ড যেমন শীর্ষে উঠে এসেছে তেমনি ইউরোপের শহরগুলো ভাইরাসের সংক্রমণ সফলভাবে রুখতে না পারায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়েছে।
[৮]২০১৮-২০ পর্যন্ত তালিকার শীর্ষে থাকা ভিয়েনা এবার ১২ ধাপ নীচে নেমেছে। পিছিয়ে পড়া ১০টি শহরের মধ্যে ৮টিই ইউরোপের। পতনের শীর্ষে রয়েছে জার্মানির হামবুর্গ। তারা ৩৪তম স্থান থেকে ৪৭তম স্থানে গিয়েছে। তালিকায় সবচেয়ে সাড়া ফেলেছে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের জনবহুল শহর হনলুলু। ৪৬তম অবস্থান থেকে শহরটি ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে।