শিরোনাম
◈ পারস্পরিক শুল্ক সংকট: চূড়ান্ত দর-কষাকষিতে বাংলাদেশ ◈ আরব আমিরাতের আবুধাবিতে প্রবাসী বাংলাদেশির ভাগ্যবদল: লটারিতে জিতলেন ৮০ কোটি টাকা ◈ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় নিহত ১১৮, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যালোচনায় হামাস ◈ ‘মব এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে সেনাবাহিনী’ ◈ হোটেলে নারীকে মারধর করা বহিষ্কৃত যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তারের চেষ্টায় পুলিশ ◈ বনানীর জাকারিয়া হোটেলে ঢুকে নারীদের ওপর যুবদল নেতার হামলা, ভিডিও ◈ দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহালের গেজেট প্রকাশ ◈ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ দিবস পালনের নির্দেশ ◈ তিন দিনের ছুটিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, পাবেন না যারা ◈ উচ্চ ও নিম্ন আদালতকে ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে হবে: সালাহউদ্দিন

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২১, ১১:৪০ দুপুর
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২১, ১১:৪০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অ্যাচিভমেন্ট হচ্ছে সকলের বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করা

কামরুল হাসান মামুন, ফেসবুক থেকে, আসলে অ্যাচিভমেন্ট কি? নিজে অনেক পড়াশুনা করলাম, অনেক বড় চাকরি বা ব্যবসা করলাম, অনেক টাকা কামাইলাম এইটা কি অ্যাচিভমেন্ট? এইগুলা ব্যক্তিগত অ্যাচিভমেন্ট যা দিয়ে বড়জোর কোর ফ্যামিলির কয়েকজন নিয়ে ভালো খাওয়া যায়, ভালো বিছানায় ঘুমানো যায়, ভালো ভালো কাপড় পরা যায়। এইগুলাই যদি অ্যাচিভমেন্ট হইত তাহলে বাংলাদেশের অনেক ধনী মানুষ এই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে চলে যেত না। অ্যাচিভমেন্ট হলো আপনি আপনার পরিবেশকে পরিবর্তন করে সকলের বসবাস যোগ্য করতে কতটা কান্ট্রিবিউট করতে পেরেছেন সেইটা। আসল অ্যাচিভমেন্ট হলো নিজের পার্সোনাল অ্যাচিভমেন্টের পরে আপনি কতজনকে অ্যাচিভমেন্ট করতে সাহায্য করতে পেরেছেন সেইটা।

আর্মি পিঁপড়া দেখেছেন? এরা অন্যের তরে অকাতরে নিজের জীবন বিলিয়ে দিতে পারে। ফলে এরা সফল। পুরো আর্মি পিঁপড়ার দলকে একটা শরীর বলা যায় আর একেকটা পিঁপড়া হলো আমাদের শরীরের একেকটা কোষ। সকল কোষের উদ্যেশ্য হলো পুরো শরীরকে সুস্থ্য রাখা। অনেকেই ন্যাশনালিজমকে পছন্দ করে না। তারা ন্যাশনালিজমকে পছন্দ না করলেও নিজের পরিবারের সদস্যদের অন্য সকল মানুষের চেয়ে বেশি ভালোবাসে। ন্যাশনালিস্টিক আইডিয়ার মুলেতো পরিবার, পরিবারের পর এক্সটেন্ডেড পরিবার, তারপর গ্রাম, তারপর উপজেলা এবং এইভাবে দেশ। আমার বেড়ে উঠার পেছনে কোর কান্ট্রিবিউশন যেমন আমার পরিবারের তেমনি আছে আমাদের দেশের আপামর মানুষের। আমরা যেই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাই, যেই স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি ইত্যাদি কোন কিছুই একা আমার না। সকলের কান্ট্রিবিউশন দিয়ে আমরা একেকজন বড় হই। বড় হয়ে সকলেরই এই ঋণটুকু পরিশোধের দায় থাকে।

কিন্তু আমি এই দেশের দিকে যতই তাকাই দেখি একটা শ্রেণীর মানুষ আছে তারা কেবলই অকৃতজ্ঞ না বরং কৃতঘ্ন। একটা শ্রেণী আছে যারা এই দেশের সাধারণ মানুষের খেয়ে, তাদের রাস্তায় চলে তাদের কান্ট্রিবিউশনে বড় হয়ে তাদের পিঠেই চুড়ি মারে। কারা দুর্নীতি করে? কারা চুরি করে অর্থ পাচার করছে? এইসব করে কি আপনাদের সন্তানদের জন্য ভালো থাকার পরিবেশ গড়ছেন? আপনি নিজে হয়ত কিছু মানুষকে ঠকাচ্ছেন। ভাববেন না আপনি একাই বেশি চতুর। আপনিও অনেক চতুর মানুষ দ্বারা প্রতারিত হবেন। তাই দেশকে ভালোবাসুন। দেশকে গড়ে তুলুন দেখবেন আপনি ভালো থাকবেন এবং তারচেয়ে বেশি ভালো থাকবে আপনার সন্তান।

যেই প্রতিষ্ঠান আপনাকে গড়েছে সেই প্রতিষ্ঠানকে আরো বড় হতে সাহায্য করুন যেন আপনার পরের প্রজন্মরা আপনার চেয়ে বেশি বড় হতে পারে। তবেই না দেশ আগাবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়