অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন : গত কয়েকদিন ধরে ইতালির গণমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে বহুল আলোচিত একটি ঘটনা হলো যড়হড়ৎ শরষষরহম বা পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্য খুন করা। পাকিস্তানের এক মেয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ইতালি থাকে অনেক বছর। সেই পরিবারের একটি মেয়ে ইতালিতে বসবাসরত পাকিস্তানের একটি ছেলের সঙ্গে প্রেম। কিন্তু বাবা ঠিক করেছে মেয়েকে মেয়ের এক কাজিন ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তাকে ইতালিতে নিয়ে আসবে। মেয়েটি অনেক চেষ্টা করেছে তার পরিবারকে বোঝাতে কিন্তু সে ব্যর্থ হয়েছে। শেষমেষ মেয়েটি টাউন কাউন্সিলের স্মরণাপন্ন হয় এবং সহায়তা পায়। একদিন মেয়েটি তার বাবা মাকে দেখতে বাসায় যায়। তাদের আলোচনায় ঠিক হয় মেয়েটি আবার একদিন আসবে। দিনক্ষণও ঠিক হয়। এইদিক দিয়ে বাবা-মা মেয়েটির চাচা ও অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করে তাকে মেরে ফেলতে হবে, নচেৎ পরিবারের সম্মান রক্ষা হবে না। নির্ধারিত দিনে মেয়েটিকে নিয়ে একটি ফার্ম হাউজে যায়। সেখান থেকে মেয়েটিকে একটি রাস্তা ধরে বিদায় দেয়। সেই রাস্তার শেষ প্রান্তে আগে থেকেই চাচারা ওঁৎ পেতে ছিলো। ওখানে পৌঁছা মাত্র মেয়েটিকে খুন করে ফেলে।
কীভাবে পারে এমন করতে? নিজের আপন বাবা-মা-চাচারাই নিজের এমন শত্রু হয়ে যায় কীভাবে? তারা একটি সভ্য দেশে থেকেও সভ্য হতে পারে না। এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনার তুঙ্গে যেই বিষয়টি সেটি হলো এই ইমিগ্র্যান্টরা আসলে কখনোই নিজেদের ইন্টিগ্রেট করতে পারছে না। তারা ইতালিতে থাকলেও ইতালিকে পাকিস্তান বানিয়ে পাকিস্তানিদের মতো করেই থাকে। তাহলে কেন তাদের ইতালির নাগরিকত্ব দেবে?
লেখক : শিক্ষক, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার মতামত লিখুন :