ইমরুল শাহেদ: চিত্রনায়ক ফেসদৌস মডেল, চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং টিভি উপস্থাপক হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি অভিনেতাই। সম্প্রতি হৃদি হকের অনুদানের অর্থ সহযোগিতায় তিনি ‘১৯৭১ সেইসব দিন’ নামে একটি ছবিতে কাজ শুরু করছেন। কোভিড মহামারির কারণে সর্বত্র অস্থিরতা শুরু হলে তিনি দীর্ঘদিন চলচ্চিত্রের কাজ করেন নি। সেই স্থবিরতা কাটিয়ে কাজ শুরু করেছেন হৃদি হকের ছবিতেই। এর আগে অবশ্য ঈদ উপলক্ষে পূর্ণিমা এবং তিনি বিটিভিতে একটি অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন। এই অভিনেতার জন্মদিন ৭ জুন।
তিনি বলেন, জন্মদিনকে ঘিরে আড়ম্বরপূর্ণ কিছু করা হবে না। হয়তো ঘরোয়াভাবে পালন করবেন। তবে চার বার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এই অভিনেতা বলেন, অনেক ছবিতে অভিনয় করলেও তার মধ্যে একটা অতৃপ্তি রয়ে গেছে। তিনি আন্তজার্তিক স্বীকৃতি পাওয়ার মতো একটি ছবিতে কাজ করতে চান। যে কাজ তাকে আজীবন মানুষের অন্তরে বাঁচিয়ে রাখবে।
ফেরদৌসের চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে প্রয়াত নৃত্য পরিচালক আমির হোসেন বাবুর মাধ্যমে। তখন আমির হোসেন বাবু পরিচালক হিসেবে নাচভিত্তিক ‘নাচ ময়ূরী নাচ’ নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু সেই ছবিটি তিনি আর নির্মাণ করতে পারেননি। অভিনেতা সালমান শাহের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে তার অভিনীত অসমাপ্ত ছটকু আহমেদের ‘বুকের ভিতর আগুন’ (১৯৯৭) ছবিতে কাজ করেন। তবে সালমান শাহের মৃত্যুর পর ছটকু আহমেদ ছবির গল্পে কিছুটা পরিবর্তন করে ফেরদৌসকে কাজ করার সুযোগ করে দেন।
এরপর ১৯৯৮ সালে এককভাবে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত ‘পৃথিবী আমারে চায় না’ ছবির মধ্য দিয়ে। এই বছরই তিনি ভারতের চলচ্চিত্রকার বাসু চ্যাটার্জি পরিচালিত যৌথ প্রযোজনার ছবি ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবির মাধ্যমে চলে আসেন আলোচনার শীর্ষে। এরপর থেকে তিনি একাধারে বাংলাদেশ ও ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন। এছাড়াও মিট্টি নামে বলিউডের একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ২০০১ সালে বাসু চ্যাটার্জির পরিচালনায় ‘চুপি চুপি’ ও ২০০২ সালে দেবাশিষ বিশ্বাসের ‘টক ঝাল মিষ্টি’ ছবি দুটিতে অভিনয় করেছেন। ২০০৩-এ ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ুন আহমেদের ‘চন্দ্রকথা’ ছবিতে অভিনয় করেন। এভাবেই তার চলচ্চিত্রে উত্থান ঘটেছে।