তরিকুল ইসলাম: [২] চীন থেকে দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার অন্যতম শর্ত ছিল এর মূল্য প্রকাশ করা যাবে না। বাংলাদেশ প্রতি ডোজ ভ্যাকসিন ১০ ডলার করে কিনতে যাচ্ছে, সরকারি এক কর্মকর্তার এমন তথ্য প্রকাশে ভ্যাকসিনের দাম এবং সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়।
[৩] সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি প্রতি ডোজের ১০ মার্কিন ডলার বা ৮৫০ টাকা (১ ডলার =৮৫ টাকা ধরে) প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়। এ হিসেবে দেড় কোটি ডোজের মোট দাম ১২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা হয়। কিন্তু তথ্য ফাঁসের পর এখন এই ভ্যাকসিন অন্যান্য দেশের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী কিনতে হতে পারে বাংলাদেশকে।
[৪] এদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাকসিন কেনায় ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে সরকার।
[৫] বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ কম দামে দেড় কোটি ডোজ টিকা দিতে সম্মত হওয়া চীন এখন বাংলাদেশের কূটনৈতিক পত্রের জবাব না দেওয়ায় চিন্তিত বেইজিংয়ে ও ঢাকায় ভ্যাকসিন কূটনীতিকরা।
[৬] তারা বলছেন, একই টিকা শ্রীলঙ্কার কাছে চীন ১৪ ডলার আর ইন্দোনেশিয়ার কাছে ১৭ ডলারে বিক্রি করছে। এখন যদি বাংলাদেশকে অতিরিক্ত সর্বনিম্ন চার অথবা সাত ডলার দামে প্রতি ডোজ নিতে হয় অবস্থাটা কি হবে বুঝতে পারছেন?
[৭] শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া নেপালসহ আরও একটি দেশ বাংলাদেশের ভ্যাকসিনকাণ্ডে চীনকে কূটনৈতিক পত্র দিয়ে বাংলাদেশের দামে ভ্যাকসিন চেয়েছে দেশগুলো।
[৮] বাণিজ্যিক স্বার্থে চীন তাদের সিদ্ধান্তে পিছু হটবে বলে মনে হয়না। কারণ, এই চার দেশের বাইরেও তাদের ভ্যাকসিন বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে যদি তারা নতুন প্রস্তাব দেয়, সে ক্ষেত্রে অন্তত অতিরিক্ত পাঁচ হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যায় হতে পারে।
[৯] ভ্যাকসিনের দাম বৃদ্ধির শঙ্কা যে অমূলক নয়, তা আরও স্পষ্ট হলো পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের কথায়। তিনি বলেন, টিকা তো সরবরাহ করবে চীনের বেসরকারি সংস্থা। তারা কী করবে সেটি তাদের সিদ্ধান্ত।
[১০] অন্য দেশে যে দামে টিকা বিক্রি করে, সে দামেই হয়তো এখন আমাদের কিনতে হবে। কিন্তু আমরা সর্ব্বোচ চেষ্টা করছি, যাতে পূর্ব নির্ধারিত দামেই কেনা যায়। সম্পাদনা: সমীরণ রায়