অনির্বাণ আরিফ: মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে চীনের তিয়ানআনমেন শহরে ১৯৮৯ সালে যে বিক্ষোভ এবং হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় সে বিষয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট-ন্যানো কমিউনিস্টরা কি কিছু জানেন কিংবা জেনে থাকলেও আলোচনা করেন? করেন না। কমিউনিজম এবং এর সঙ্গে জড়িত প্রতিটি পলিটিক্যাল টার্ম যতোটা সুন্দর, ঝলঝলে ততোটাই কিন্তু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাধীনতা ও মানবাধিকার বিরোধী চিন্তা। কিন্তু বাংলাদেশের কমিউনিস্ট-ন্যানো কমিউনিস্টদের প্রতিদিনের কথাবার্তায় মনে হবে তারা কতোই না চমৎকার, তারা কতো মজা করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা চায় তাই না? আসলেই তাদের শর্ষের ভেতর ভণ্ডামি।
আমি এযাবৎকালে কোনো কমিউনিস্ট-ন্যানো কমিউনিস্ট, বাম কিংবা বামাতির মুখে চীনের তিয়ানআনমেনের বিষয়ে কিছু শুনিনি। এমনকি চীনে যে প্রতিবছর হাজার হাজার লেখক ও ভিন্নমতাবলম্বীকে ধরে গুম করে ফেলা হয় সে বিষয়ে তারা সম্পূর্ণ বেওয়াকিবহাল। শুধু বাংলাদেশের কমিউনিস্ট, বাম আর বামাতিরাই নয়, তাদের আন্তর্জাতিক হাইপোথিটিক্যাল ট্যাংক যেমন, নোয়াম চমস্কি, অরুন্ধতী রায় তারাও কিন্তু চীনা কমিউনিস্ট পার্টির এসব বর্বরতা আর অমানবিকতা নিয়ে চুপচাপ। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনায় কমিউনিস্টরা যেভাবে সোচ্চার, চীনা কমিউনিজমের আলোচনায় কমিউনিস্টরা ততোটাই নীরব। এর কারণ হলো কমিউনিস্টরা কারো গায়ে কমিউনিজমের হালকা গন্ধ পেলেও তাকে ভাসুরের মতো সম্মান করে। অথচ দুনিয়ার সকল গণতান্ত্রিকরা ভিন্ন যে কোনো ধরনের গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, কমিউনিস্টতন্ত্র এবং স্বৈরতন্ত্রের সমানভাবে বিরোধিতা করে। ফেসবুক থেকে