শামীম আহমেদ: দেশে থাকতে এই সময়ে প্রতিবছর নারায়ণ’দার সঙ্গে বাজেট নিয়ে একটা বিশ্লেষণধর্মী কলাম লিখতাম কোনো একটা পত্রিকায়। এখন কিছু জানিও না, আর লেখাও হয় না। শুধু জানি এটি অর্ধেকের কাছে ‘জনবান্ধব’ ও অর্ধেকের কাছে ‘গরিব মারার’ বাজেট হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়াও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হবে।
তা নিয়ে গত ৫০ বছরের মতো অর্ধেক বিশেষজ্ঞ হাউ কাউ করবে, বাকি অর্ধেক সমর্থন করবে। এর বাইরে মানুষকে ভুল জায়গায় নজর দেয়ানোর জন্য ইচ্ছে করে ২/৩টা অত্যাবশকীয় আইটেমে ভ্যাট/ট্যাক্স বসানো হবে। মানুষ একমাস ধরে ওইগুলা নিয়ে চেচামেচি করবে, পত্রিকায় দুই ভিন্ন মতালম্বী বিশেষজ্ঞরা এই দুই পয়সার খাতা কলম পেন্সিল এলইডি লাইট নিয়ে ক্যাচাল করতে থাকবে, আর তলে তলে রাশা, ভারত, চীন, আমেরিকা বান্ধব হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়ে যাবে, কেউ টেরও পাবে না।
আবার করোনার জন্য স্বাস্থ্যখাতে হাজার হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হবে, সেগুলা খরচ করার আগে তামাদি হয়ে যাবে, করোনাও শেষ হয়ে যাবে; ওদিকে সরকারি কর্মকর্তারা সেই টাকা দিয়ে বিদেশি ভার্সিটির ট্রেনিং প্রোগ্রামের নামে নায়াগ্রা, বার্কিংহাম প্যালেস, হোয়াইট হাউস দেখে আসবে। অর্থনীতির মাস্টার্স হিসেবে এই স্ট্যাটাসটা দেয়া ফরজে কেফায়া ছিলো, দিলাম। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :