সমীরণ রায়: [২] বিভিন্ন দেশের বাজেটের সঙ্গে তুলনামূলক চিত্রে দেশের বাজেটকে তুলে ধরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত কয়েক বছরের সংবাদপত্র যাচাই করলে দেখা যাবে, প্রতি বছর বাজেটের পর তারা একই মন্তব্য করে আসছেন। গতবছর যুক্তরাষ্ট্রে জিডিপির তুলনায় বাজেট ঘাটতি ছিল ১৫.২ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১৪.৩ শতাংশ, জাপানে ১২.৬২ শতাংশ ও ভারতে ৯.৩ শতাংশ। আর সেখানে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি মাত্র ৬.২ শতাংশ।
[৩] তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও বাংলাদেশ যে এগিয়েছে তার প্রমাণ দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়ে ২ হাজার ২২৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে শ্রীলংকাকে ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়ে বাংলাদেশ এখন ঋণদাতা দেশে পরিণত হয়েছে।
[৪[ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের দেওয়া বাজেট ছিল ৮৮ হাজার কোটি টাকা আর এবারের প্রস্তাবিত ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট সেই তুলনায় ৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যা গত সাড়ে ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতির নজির।
[৫] বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাজেটে সাধারণ মানুষের জন্য পরিবহন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসৃজনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বাজেটের ৫ শতাংশ বরাদ্দ সামাজিক নিরাপত্তা খাতে রাখা হয়েছে, যা ভারতে ৩.১ শতাংশ ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে গড় বরাদ্দ মাত্র ৩.৪৮ শতাংশ।
[৬] শুক্রবার রাজধানীর মিন্টু রোডে সরকারি বাসভবনে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।