কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রদূত ইথিওপিয়ার সরকার এবং জনগণের জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
[৩] তিনি ইথিওপিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, উক্ত আন্তরিক এবং গভীর সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিতকরণ তার অন্যতম লক্ষ্য।
[৪] রাষ্ট্রদূত বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, মুজিব শতবর্ষ উদযাপন ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিবরণ প্রদান করেন এবং বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও বাংলাদেশিদের পেশাদারি নৈপুণ্য ইথিওপিয়ার উন্নতিতে কাজে লাগানোর প্রস্তাব করেন।
[৫] ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রপতি বর্তমান সরকারের অধীনে বাংলাদেশের সার্বিক আর্থসামাজিক উন্নতির প্রশংসা করেন এবং অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা থেকে ইথিওপিয়া মূল্যবান শিক্ষা নিতে পারে বলে অভিমত প্রকাশ করেন।
[৬] রাষ্ট্রদূত ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রপতিকে জানান, বাংলাদেশের প্রবর্তিত ক্ষুদ্র ঋণ ও নারীর ক্ষমতায়ন অন্যান্য সবার জন্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের ইথিওপিয়ার বিশেষায়িত অঞ্চলসমূহের বিশেষ সুবিধার সুযোগ নিয়ে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
[৭] রাষ্ট্রদূত করোনা মহামারি পরবর্তীকালে বাংলাদেশ থেকে একটি অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের সফরের প্রস্তাব করেন এবং ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রপতিকে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানান। ইথিওপিয়ার রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রদূতকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
আপনার মতামত লিখুন :