শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ০৪ জুন, ২০২১, ০৪:২০ সকাল
আপডেট : ০৪ জুন, ২০২১, ০৪:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফজলুল বারী: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বেনিফেশিয়ারি জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া যখনই সুযোগ পেয়েছে, তখনই খুনিদের সেবা করেছে

ফজলুল বারী: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিদের নাম দেওয়া হয় জাতির সূর্য সন্তান। মুশতাক, জিয়া, এরশাদ, খালেদা জিয়া তাদের এই সূর্য সন্তানদের লালন-পালন করেছে। জিয়া-এরশাদ দুজনেই তাদের চাকরি দিয়ে লালন-পালন করেছে বিদেশি দূতাবাসে। এখন টেলিভিশনের বিশিষ্ট বক্তা শমসের মোবিন চৌধুরী ডলারের বস্তা-সহ তাদের সঙ্গে বিদেশে যান। এরশাদ আমলে এই খুনিরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেয়। ফ্রিডম পার্টি নামে দল গঠন করে। মিল্লাত নামের দৈনিক পত্রিকা বের করে চালায়। অবজারভার ভবনের সামনের গলিতে মিল্লাতের অফিসে ছিলো দুর্গের মতো নিরাপত্তা। সেই মিল্লাতের সাংবাদিকরাও পরে বিএনপি-জামায়াতের সাংবাদিকদের সঙ্গে মিশে যান। খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে খুনি রশীদকে বিরোধীদলের নেতা বানান। খুনি ফারুক সেই নির্বাচনে অংশ নেননি। খালেদার ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের দিন আওয়ামী লীগ গণকার্ফু ঘোষণা করলে সারাদেশ অচল হয়ে পড়ে। এমন হরতাল বহুদিন বাংলাদেশ দেখেনি।

ফারুকের ঘনিষ্ঠ একজন সাংবাদিক ছিলেন হারুনুর রশীদ। ছোটখাটো গড়ন। গণকার্ফুর মধ্যে তার অটোতে আমাকে খুনি ফারুকের বাসায় নিয়ে যান। সেনানিবাসের শেষ প্রান্তে তার বাড়িটা এমন জায়গায় ছিলো যে কেউ ধাওয়া দিলে বিমান বন্দর সড়ক দিয়ে যাতে পালাতে পারে। ঘরের মধ্যে বসে একটার পর একটা সিগারেট খাচ্ছিল খুনি ফারুক। কথাবার্তায় তার ভাবখানা ছিলো যে সে কিছুই ভয় পায় না। আসলে যে ভয় পায় সেই এ ধরনের ভাব দেখায়। খুনি ফারুক সেই আড্ডায় নতুন একটি তথ্য দেয়। তাহলো লুচু এরশাদ এক পর্যায়ে এক বিধবাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো। কিন্তু ট্র্যাডিশনাল আর্মি এটা মেনে নেবে না, এরজন্যে তারা এতে রাজি হয়নি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসছে দেখে খুনি রশীদরা বিদেশে পালিয়ে যায়। কিন্তু ঘাড়মোটা খুনি ফারুক যায়নি। আমার মনে হয়েছে খুনি ফারুকের ধারণা ছিলো আওয়ামী লীগ ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করতে পারবে না। তাদের বিচারও করতে পারবেনা। তাছাড়া জিয়া-এরশাদ জমানায় এমন একটি ধারণা প্রচার করা হয় যে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা মানে সেনাবাহিনীর গায়ে হাত দেওয়া।

আরেক গল্প আমাদের বলা হতো। তাহলো, সামরিক অভ্যুত্থান সফল হলে বিচার হয় না। ব্যর্থ হলে বিচার হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড তাদের বিবেচনায় ছিলো একটি সফল সামরিক অভ্যুত্থান। তাদের রাজনীতির ধারক-বাহক মির্জা ফখরুল গং। যারা এখন সকাল-সন্ধ্যা দেশের মানুষকে গণতন্ত্র শেখায়। মোটকথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বেনিফেশিয়ারি জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া যখনই সুযোগ পেয়েছে তখনই খুনিদের সেবা করেছে। বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তাদের কেউ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেতো না। সর্বশেষ ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে খালেদা জিয়া এই বিচার আটকে দেন। এর মাশুল তিনি এখন দুনিয়াতে থাকতেই আল্লাহর কাছে পাচ্ছেন। কারণ যে বঙ্গবন্ধু তার সংসার রক্ষা করেছেন, তার সঙ্গে তিনি বেঈমানি করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ একটি তথ্য বলেছেন তার এক বক্তৃতায়। তাহলো, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার সময় সরকারি আতিথেয়তায় খুনি ডালিমরা ঢাকায় ছিলো। আর আমি তখন লিখেছিলাম, গ্রেনেড হামলার নকশা সাজিয়ে তারেক রহমান কক্সবাজারে চলে যায়। মিডিয়ায় তখন ২/৩ দিন নিখোঁজ ছিলো তারেক। তার রাজনৈতিক অভিষেক উপলক্ষে চ্যানেল আইতে বিশাল এক সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়। তেজগাঁওতে এখন চ্যানেল আইর যে অফিস, এর জমি বিএনপি আমলে প্রাপ্ত। ২ জুন টিভির স্ক্রলে দেখছিলাম খুনি ডালিম, নূর, রাশেদ, মোসলেহ উদ্দিনের খেতাব-সহ নানাকিছু বাতিল হচ্ছে। এরসঙ্গে একটু যুক্ত করি। তাদের অপরাজনীতির ধারক বাহক মির্জা ফখরুল গং কোনো দিন ক্ষমতায় ফিরতে পারলে খুনিদের সব খেতাব পুনর্বহাল করবে। কারণ এই খুনিরাই তাদের রাজনৈতিক মঞ্চ-গদি সব দিয়েছে। লেখক : অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী সাংবাদিক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়