আসাদুজ্জামান : [২] বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা করেনা প্রতিরোধ কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
[৩] জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জানান, লকডাউনের সময় সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত জরুরি নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া এ সময় সকল প্রকার গনপরিবহন বন্ধ থাকবে। লকডাউনের সময় সাধারণ মানুষের চলাচল ও ভিড় এড়ানোর জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
[৪] সাতক্ষীরার সাথে যশোর ও খুলনাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কের যোগাযোগের পয়েন্টগুলিতে পুলিশ চেকপোষ্ট থাকবে। এ সময় সীমান্তে পারাপার বন্ধ থাকবে। শহরে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাধা নিষেধ অমান্যকারীদের জরিমানা করা হবে।
[৫] তবে, ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রপ্তানী কার্যক্রম চালু থাকলেও সেখানে সকল প্রকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে।
[৬] সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত জানান, করোনা সংক্রমনরোধে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
[৭] সভায় এ সময় ভার্চুয়ালী অংশ গ্রহণ করেন, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সাতক্ষীরা-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. মোস্তফা লুৎফুল্লাহ, এছাড়া সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ আল মাহমুদ, সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়েত, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, প্রেসক্লাব সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী প্রমুখ।
[৮] এদিকে ভারত ফেরত বৈধ ও অবৈধ যাত্রীদেরকে নিয়ে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে প্রশাসন। এসব যাত্রীদের বিভিন্ন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমনের হার ৫০ পার্সেন্ট অতিক্রম করায় স্বাস্থ্যঅধিদপ্তর লকডাউনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে। গত দুই দিনে সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমনের হার ছিল প্রায় ৫৪ শতাংশ।
[৯] করোনা পজিটিভ নিয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে এবং প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিক কোয়ারেনটিনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৪৫ জন। এদিকে, ভোমরা স্থল বন্দরে ভারতীয় আমদানী জাত পণ্যবাহি ট্রাকের ড্রাইভার ও হেলপারদের বন্দর এলাকায় অবাধ বিচরণ করোনা সংক্রমণের অন্যতম কারণ।
[১০] জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় এক সপ্তাহের লকডাউনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ