ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়ায় ভারত সরকার লকডাউন ঘোষণা করায় রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে হরিয়ানার গুরুগ্রামের বাসিন্দা জ্যোতি কুমারী ১২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে অসুস্থ বাবার চিকিৎসার জন্য বিহারে দারভাঙা পৌঁছায়। এতো কষ্ট করেও বাবাকে বাঁচাতে পারলেন না জ্যোতি কুমারী। আর টিভি
জ্যোতি কুমারীর বাবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে মঙ্গলবার (১ জুন) এনডিটিভির খবরে বলা হয়।
ভারতে গত বছরের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রথম ঢেউ দেশজুড়ে চলছিল লকডাউন। জ্যোতি কুমারী তার বাবাকে সাইকেলে চাপিয়ে হরিয়ানার গুরুগ্রাম থেকে বিহারে দারভাঙার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। প্রায় অর্ধভুক্ত থেকে, সাত দিন সাইকেল চালিয়ে বিহারে পৌঁছায় তারা। এমনকি অর্থাভাবে টাকা ধার করে কোনোক্রমে ওই সাইকেল জোগাড় করেছিল জ্যোতি এবং তার বাবা।
কাজের খাতিরে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে আসা লাখ লাখ শ্রমিক, অন্তঃসত্ত্বা নারী, শিশু যারা মাইলের পর মাইল হেঁটে বা সাইকেলে চেপে শত শত মাইল পাড়ি দিয়ে বাড়িতে রওনা দেয়, তাদের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল জ্যোতি।
কঠোর পরিশ্রম ও অনমনীয় চেষ্টার কারণে শুধু ভারতে নয়, জ্যোতি আলোচিত বিশ্বদরবারেও। জ্যোতি তার স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার পায়। বিস্ময়কন্যা জ্যোতির পড়াশোনা করানোর দায়িত্ব নেন বিহারের লোক জনশক্তি পার্টির প্রেসিডেন্ট চিরাগ পাসওয়ান। এমনকি জ্যোতি দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাস করার পর তাকে ট্রায়ালে ডেকে পাঠানোর কথা জানায় সাইক্লিং ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়া। ‘সুপার থার্টি’খ্যাত আনন্দ কুমারও জ্যোতিকে আইআইটি-জেইই পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সাহায্য করবেন বলে জানান।