মঈন উদ্দীন: [২] কঠোর লকডাউনে ঘরবন্দি করা যায়নি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষদের। লকডাউন উপেক্ষা করে ঘর ছাড়ছে শত শত মানুষ। জীবিকার তাগিদে মানুষ গত তিন-চার দিনে রাজশাহী হয়ে বাসে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা ও বিভাগে যাত্রা করেছেন। লকডাউনের মধ্যেও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে রাজশাহীতে আসছেন তারা।
[৩] শ্রমজীবীরা বলছেন, গ্রামে কাজ নেই। ঈদের পর থেকে বসে আছেন তারা। উপায় না পেয়ে তারা ঘর ছেড়েছেন।
[৪] সর্বশেষ শনিবার রাত থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ও ঢাকা বাসস্ট্যান্ডে ছিলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা মানুষের জটলা। সকাল ১০টার দিকে কাউন্টারগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে, তাদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে। এছাড়া স্টেশনের প্রধান ফটক ছাড়াও প্লাটফর্মে বসে থাকতে দেখা গেছে তাদের। বিভিন্ন পেশার মধ্যে রাজমিস্ত্রিদের সংখ্যই বেশি দেখা গেছে।
[৫] জানা গেছে, সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই আশেপাশের জেলা শহর ও উপজেলাতে নিকট আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান নিচ্ছেন। এতে করে তুলনামূলক সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। যদিও চাঁপাই ও রাজশাহীতে দিন দিন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা বাড়ছে।
[৬] রাজশাহীর ঢাকা বাস টার্মিনালে কয়েকজন জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গোদাগাড়ী প্রায় ২০ কিলোমিটার। এই পথ হেঁটে এসেছি। সকালে পুলিশ ডিউটিতে আসার আগেই আমরা বাড়ি থেকে বের হয়েছি। সড়কে পুলিশের চেক পোস্ট থাকায় মাঠ মাঠ (বিল বিল) হয়ে এসেছি। কখনও ছোট ছোট সড়কে অটোরিক্সা বা ভ্যানে চড়েছি। গোদাগাড়ীতে আসার পরে অটোরিক্সায় রাজশাহীর কাশিয়াডাঙ্গায় এসেছি, এরপর এখানে। ঈদের পর আমরা কাজ করতে পারিনি। আর এলাকায় কাজও নেই। তাই ঢাকায় যাচ্ছি। সেখানে রাজমিস্ত্রিসহ বিভিন্ন ধরনের কাজ করি আমরা।
[৭] রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম জানান, গোদাগাড়ী ও তানোরের সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পুলিশ কঠোরভাবে চেকপোস্টে তল্লাশি করছে। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- কেউ চাঁপাই থেকে বাইরের জেলাগুলোতে আসবেন না। এতে করে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে। সম্পাদনা: হ্যাপি