শিমুল মাহমুদ: [২] যুক্তরাজ্য শেফিল্ড ইউনিভার্সিটির সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট খোন্দকার মেহেদী আকরাম বলেন, মিউকরমাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ খুব বিরল। বছরে ২০ লাখ মানুষের মধ্যে মাত্র ৩ জন আক্রান্ত হন।
[৩] সংক্রমণের কারণ প্রথমতঃ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না থাকা। দ্বিতীয়তঃ যে কোনও ভাইরাল ইনফেকশনের পর হওয়া সেকেন্ডারি ইনফেকশন। তৃতীয়তঃ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড অথবা অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের ব্যবহার।
[৪] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অনেক কম অথবা ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা এইডসে আক্রান্ত- তারা খুব ঝুঁকিতে আছেন।
[৫] ভারতের বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, এর চিকিৎসা অত্যন্ত দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল। এমফোটেরিসিন বি, পোসাকোনাজল ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়। এর মূল্য বেশি, মজুতও স্বল্প।
[৬] সিঙ্গাপুরে কর্মরত অনুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল বলেন, বাতাসে ঘুরে বেড়ানো ইনফেকশনকারী স্পোর সুস্থ মানুষের শরীরে প্রবেশ করলেও কোনও ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেলেই ফুসফুসে জন্মাতে শুরু করে এবং ক্রমান্বয়ে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। তাই মনে রাখতে হবে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেনো একেবারেই হ্রাস না পায়। এক্ষেত্রে ভিটামিন সি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) পরিচালক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, এ রোগের চিকিৎসা বিষয়ক সুনির্দিষ্ট একটি গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব