সমীরণ রায়: [২] হাসানুজ্জামান কল্লোল আরও বলেন, হাওর অঞ্চলে কৃষি যন্ত্রপাতি কেনায় ডাউন পেমেন্ট কমানোর বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। গত অর্থবছরে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ২২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যার পুরোটাই কৃষি মন্ত্রণালয় খরচ করেছে।
[৩] কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, কৃষকের সুবিধার্থে আধুনিক এক মেশিন ১০০ জন কৃষকের কাজ করে। বিশেষ করে হাওর অঞ্চলে দিন রাত কাজ করতে বড় মেশিনগুলো দরকার হয়। কৃষক বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কিস্তিতে এসব যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সুবিধা পাচ্ছে।
[৪] শুক্রবার ইআরএফ মিলনায়তনে ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়ন’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় বাজেট ২০২১-২২ সামনে রেখে কৃষি খাতের গুরুত্ব, সমস্যা ও সম্ভাবনা তুলে ধরতে বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচারাল টিচার্স সোসাইটি এ সংলাপের অয়োজন করে।
[৫] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শারমিন নিলোর্মী বলেন, আজকে যে যান্ত্রিকীকরণ হয়েছে সেটা একটি বিবর্তনের মাধ্যমে এসেছে। একজন কৃষক শুধু কৃষকই নন। তিনি কখনও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কখনও উদ্যোক্তা কিংবা কখনও চাকরিজীবী। গত ১৫ বছরে কৃষিতে নারীদের অংশগ্রহণ ১১৮ শতাংশ বেড়েছে। কৃষি কার্যক্রম হচ্ছে একটি সম্মিলিত প্রয়াস।
[৬] দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সদস্য মো. আমির হোসেন বলেন, কৃষি যন্ত্র কিনতে বর্তমানে হাওর অঞ্চলে সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষি যন্ত্র কেনায় কৃষকদের সক্ষমতা বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
[৭] কৃষি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. সদরুল আমিন বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর কৃষি ববস্থা গড়ে তুলতে এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর আসবে না। দেশে বেকারত্ব কমাতে এইচএসসি পাশ করে কৃষি শিক্ষা গ্রহণ করে কৃষিতে যোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :