লিহান লিমা: [২] বৃহস্পতিবার দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ধূমপায়ীর হার অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় সর্বোচ্চ রেকর্ড করেছে। ধূমপায়ীর হার বৃদ্ধির পেছনে মূল কারণ হিসেবে রয়েছে তরুণদের ধূমপানের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়া। দ্য গার্ডিয়ান
[৩] গত তিন দশকে বৈশ্বিকভাবে ধূমপায়ীর হার কিছুটা হ্রাস পেলেও ২০টি দেশে পুরুষ ও ১২টি দেশে নারী ধূমপায়ীর হার বেড়েছে। বিশ্বে মোট ধূূমপায়ীর দুই-তৃতীয়াংশই ১০টি দেশে। এর মধ্যে শীর্ষে চীন, দেশটিতে ধূমপায়ীর সংখ্যা ৩৪ কোটি ১০ লাখ)। ভারত, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, বাংলাদেশ, জাপান, তুরস্ক, ভিয়েতনাম ও ফিলিপাইন।
[৪]গবেষণায় উঠে আসে, ১৯৯০ সালের পরবর্তী ৯ বছরে আরো ১৫ কোটি মানুষ ধূমপায়ী হয়েছেন, যা বিশ্বে মোট ধূমপায়ীর সংখ্যা নিয়েছে ১১০ কোটিতে। ২০১৯ সালে ধূমপানের কারণে বিশ্বজুড়ে ৮০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছেন। এর মধ্যে ১৭ লাখ হৃদরোগে, ১৬ লাখ ফুসফুসজনিত রোগে, ১৩ লাখ ট্র্যাচিয়াল, ব্রঙ্কাস ও ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ও ১০ লাখ স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন।
[৫]এর আগে এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অর্ধেকের বেশি দীর্ঘমেয়াদী ধূমপায়ী ধূমপানের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত কারণগুলোর জন্যই মারা যাবেন এবং অধূমপায়ীদের চেয়ে ধূমপায়ীদের গড় আয়ু ১০ বছর কম হবে।
[৬] গবেষণার লেখক মারিসা রেইতসামা বলেন, ৮৯ভাগ নতুন ধূূমপায়ীর বয়সই ২৫এর নিচে। দেশগুলো বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা ধরে ধূমপায়ীর হার কমিয়ে না আনা পর্যন্ত তামাকের প্রতি এই আসক্তি বাড়তে থাকবে।’ গবেষণার সহ-লেখক ভিন গুপ্তা বলেন, ধূমপান কমাতে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিবদ্ধতার প্রয়োজন। ইন্টারনেট ভিত্তিক মিডিয়া ও গণমাধ্যমে সিগারেট ও ই-সিগারেটের বিজ্ঞাপন, প্রচার ও স্পন্সরশীপের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। কিন্তু বিশ্বে মাত্র চারটি দেশের মধ্যে ১টি দেশ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এইসব বিজ্ঞাপনের ওপর ব্যাপকভাবে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।’