হাবিবুর রহমান : [২] বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি ও পার্শ্ববর্তী রামুর গর্জনিয়া কচ্ছপিয়াতে বিদ্যুতের অব্যাহত লোডশেডিং আর বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে। প্রতিদিন গড়ে লোডশেডিং হচ্ছে ২০ ঘন্টা। গ্রীষ্মের এ গরমে অস্বস্তি ছাড়াও বিভিন্ন রোগে ভুগছেন সর্বস্তরের মানুষ।
[৩] অফিস আদালতে কাজ-কর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। সংবাদকর্মীরা জনগুরুত্বপূর্ণ সংবাদ প্রেরণে ব্যর্থ হচ্ছে। কখন বিদ্যুৎ আসবে- সর্বস্তরের মানুষ শ্যেণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকছে। কবে নাগাদ লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে নিষ্কৃতি পাবে, এ প্রশ্ন এখন সর্বস্তরের মানুষের।
[৪] কচ্ছপিয়া আল আমিন মার্কেটের রশিদ কোম্পানী জানান, ফ্রিজে রাখা খাদ্যসামগ্রী পঁচে যাচ্ছে। মানুষ হিমেল হওয়ার প্রত্যাশায় গাছ-গাছালির নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। স্থানীয় কম্পিউটার দোকানের পরিচালক সামশুল আলম শাহিন রহমান অভিযোগ করে বলেন, ছেলে মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারছে না, বিদ্যুতের লাগামহীন লোডশেডিংয়ে সময় মতো শিক্ষার্থীদের টেবিলে বসানো যাচ্ছে না।
[৫] মধুবন বেকারীর পরিচালক জানান, লোডশেডিংয়ে আমার ফ্রিজে সংরিক্ষত খাবার নষ্ট হয়ে লোকসান গুনতে হচ্ছে। সুত্র বলছে নাইক্ষ্যংছড়ি, গর্জনিয়া কচ্ছপিয়াতে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৯ হাজারেরও বেশি। বিদ্যুতের প্রয়োজন প্রায় ৭ মেগাওয়াট; রামুর বিপিডিবি’র গ্রীড থেকে পাওয়া যাচ্ছে ৭ মেগাওয়াট। তার পরেও প্রায় পৌণে ২ লাখ জন অধ্যষিত মানুষ সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। রামুর কিছু অংশ বিকল্প বিদ্যুৎ হিসেবে ব্যবহার করছে জেনারেটর।
[৬] এদিকে স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন যেভাবে আমাদের নির্দেশনা আসে, সেভাবে আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকি। এদিকে রামু বিদ্যুৎ অফিসের আরই ইনচার্জ মাঈনুল ইসলাম জানান, তাদের পর্যাপ্ত বিদ্যৎ সরবারহ আছে। ৩/৪ দিন দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার করণে লোডশেডিং হচ্ছে। দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হবে বলে নিশ্চিত করেন বিদ্যুতের এই কর্মকর্তা।