মনিরুল ইসলাম: [২] সংসদে উত্থাপিত এই বিলটি পাসের জন্য সংসদের আসন্ন বাজেট অধিবেশনে রিপোর্ট আকারে তোলা হবে।
[৩] এই আইন পাস হওয়ার পর অনুমোদন ছাড়া শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করলে অপরাধ হবে।
[৪] মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিলটির প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে। কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মো. আব্দুল আজিজ, শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান এবং সাহাদারা মান্নান অংশ নেন।
[৫] উল্লেখ্য, গত ৩ এপ্রিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ‘শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র বিল-২০২১’ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি দুই মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
[৬] বিলে বলা হয়েছে, শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র থেকে শিশু হারিয়ে গেলে সর্বোচ্চ ১০ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাঁচ লাখ পর্যন্ত জরিমানা করা যাবে।
[৭] এ আইন প্রবর্তন হলে সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত শাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজ ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত শ্রেণির কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার পাশাপাশি আইনের অধীন নিবন্ধন সনদ নিয়ে শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র পরিচালনা করতে পারবে।
[৮] বিলে বলা হয়, প্রতি তিন মাসে একবার করে শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১১৯টি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র রয়েছে।
[৯] কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, মো. আব্দুল আজিজ, শবনম জাহান, লুৎফুন নেসা খান এবং সাহাদারা মান্নান অংশ নেন।
আপনার মতামত লিখুন :