কূটনৈতিক প্রতিবেদক: [২] জাতিসংঘের পঞ্চম এলডিসি কনফারেন্সের জন্য উচ্চভিলাসী ও রূপান্তরধর্মী এজেন্ডা সৃষ্টিতে নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ও কানাডা। স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পঞ্চম সম্মেলন ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে কাতারের রাজধানী দোহায় অনুষ্ঠিত হবে।
[৩] মঙ্গলবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এলডিসি সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাটি যৌথভাবে আহ্বান করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত কানাডার স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত বব রে।
[৪] কোভিড-১৯ প্রভাবে স্বল্পোন্নত দেশসমূহ যেসকল মারাত্মক পরিণতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা উঠে আসে সাধারণ বিতর্ক পর্বের আলোচনায়। এলডিসি’র দেশসমূহের জন্য উচ্চভিলাষী আগামী ১০ বছরের কর্মসূচির প্রতি একাত্মতা ও অংশীদারত্ব প্রদর্শন করেন বক্তারা।
[৫] রাবাব ফাতিমা বলেন, এখন স্বল্পোন্নত দেশসমূহের জন্য সর্বোচ্চ প্রাধিকার হচ্ছে কোভিড-১৯ এর টিকার সহজ ও বাধাহীন প্রাপ্তি। যদি টিকার বিষয়টি এখনই সমাধান করা না হয় তবে সামনের বছরগুলোতে স্বল্পোন্নত দেশসমূহ তীব্র মানবিক ও অর্থনৈতিক দূরবস্থার মধ্যে নিপতিত হবে।
[৬] ২০২২ সালে কাতারে অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম এলডিসি কনফারেন্সটি হবে জাতিসংঘের অন্যতম বৃহৎ সম্মেলন। এই সম্মেলনে এলডিসি’র পরবর্তী কর্মসূচির জন্য একটি নতুন বৈশ্বিক কম্প্যাক্ট গৃহীত হবে, যা দেশগুলির আশু ও দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত উভয় ধরনের সমস্যার সমাধানে ভূমিকা রাখবে।
[৭] সম্মেলনটির কো-চেয়ার হিসেবে টেকসই উত্তরণ ও উত্তরণের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা পদক্ষেপসহ বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক বিষয় এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তাৎপর্যপূর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হবে।